রায়বরেলীর বিধায়ক অদিতি সিংহ।
বিদেশ সফরে গিয়েও দলের সংগঠন গুছিয়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। নানা রাজ্যের সংগঠনে রদবদলের মধ্যেই মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ বার তিনি নিয়োগ করলেন রায়বরেলীর বিধায়ক অদিতি সিংহকে। যাঁর সঙ্গে রাহুলের বিয়ে নিয়ে মাস তিনেক আগে গুজব ছড়িয়েছিল। সেই গুজব খণ্ডন করে অদিতি বলেছিলেন, রাহুল তাঁর রাখি-দাদা। প্রাক্তন বিধায়ক অখিলেশ প্রতাপ সিংহের কন্যা অদিতির সঙ্গে গাঁধী পরিবারের পুরনো সম্পর্ক। সনিয়া গাঁধীও রায়বরেলী গেলে তাঁদের বাড়িতে যান।
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গকেও যে তিনি বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা বোঝাতে এ বার এক সঙ্গে তিন জনকে এআইসিসি-র সচিব হিসেবে নিয়োগ করলেন রাহুল। ওড়িশার শরৎ রাউত, বিহারের মহম্মদ জাওয়াদ এবং বি পি সিংহকে। গৌরব গগৈকে আগেই পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দিয়েছেন রাহুল। কংগ্রেস সভাপতির নির্দেশে গৌরব এখন চষে বেড়াচ্ছেন বাংলার জেলায় জেলায়। এ বারে এই তিনজন তাঁকে সহযোগিতা করবেন।
পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘এর আগে দু’জন সচিব ছিলেন বাংলার দায়িত্বে। এ বারে তিন জনকে নিয়োগ করায় স্পষ্ট, রাহুল গাঁধী বাংলাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন।’’ মাসখানেক আগেই বাংলার নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠান রাহুল। তৃণমূল যে দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে, বাংলার অনেক নেতা সে কথা রাহুলকে জানিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দশ জনপথে যান, সে সময় সনিয়া গাঁধীর সামনেই রাহুল বাংলার প্রসঙ্গ তোলেন। তৃণমূল যে দল ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছে, সে ব্যাপারে অসন্তোষও জানিয়েছিলেন তিনি।