Economy

অর্থনীতি নিয়ে মোদীর দাবিতেও প্রশ্ন

কেন্দ্রের বিশ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজে লকডাউনের রাহুগ্রাস কাটিয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা থেকে অর্থনীতিবিদেরা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২০ ০৫:৪৫
Share:

ছবি: পিটিআই।

অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

কেন্দ্রের বিশ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজে লকডাউনের রাহুগ্রাস কাটিয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা থেকে অর্থনীতিবিদেরা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও পরোক্ষে জানিয়ে দিয়েছে, শুধু ঋণ বিলি করলে চলবে না। বাজারে চাহিদাও বাড়াতে হবে। কিন্তু আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম দফার ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‘গত কয়েক সপ্তাহের চেষ্টায় আমাদের অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। মে মাসে সারের বিক্রি গত বছরের মে-র তুলনায় দ্বিগুণ। খরিফ ফসলের বপন গত বছরের তুলনায় ১২ থেকে ১৩ শতাংশ বেশি। মোটরবাইক-স্কুটারের উৎপাদন করোনা-পর্বের আগের উৎপাদনের ৭০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। খুচরো ব্যবসায় ডিজিটাল লেনদেন বেড়েছে। মে মাসে টোল আদায় বেড়েছে। এ সবই আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির নমুনা।’’ সর্বোপরি তাঁর বক্তব্য, টানা তিন মাস রফতানি কমে যাওয়ার পরে জুন মাসের গোড়ায় রফতানি গত বছরের জুনের স্তরেই পৌঁছে গিয়েছে। এটিও অর্থনীতির হাল ফেরার লক্ষণ।

মোদীর এই মন্তব্যের পরে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কোন জগতে বাস করেন?’’ রমেশের বক্তব্য, আশা করা সব সময়েই ভাল। কিন্তু এই সব তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই।

Advertisement

বিরোধী শিবির মনে করিয়ে দিচ্ছে, লকডাউন ওঠার পরে ‘আনলক’ পর্ব শুরু হওয়ায় স্বাভাবিক নিয়মেই বিদ্যুতের খরচ বাড়বে। বেশি খরিফ বপনের সঙ্গেও অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সম্পর্ক নেই। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল আগেই বলেছিলেন, জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশ থেকে রফতানির পরিমাণ ৪৯৪ কোটি ডলার। যা গত বছর জুনের প্রথম সপ্তাহে ৫০৩ কোটি ডলার ছিল। কিন্তু অর্থনীতিবিদেরা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, পীযূষ গয়াল নিজেই স্বীকার করেছেন, গোটা জুন মাসে রফতানি ৮ থেকে ১০ শতাংশ কমবে। ভুললে চলবে না, এপ্রিল মাসে রফতানি প্রায় ৬০ শতাংশ কমেছে। মে মাসে ৩৬ শতাংশের বেশি রফতানি কমেছে। আজকের পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিল, মে ও জুনে অগ্রিম কর্পোরেট কর বাবদ আয় প্রায় ৮০ শতাংশ কমেছে।

প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আজ যুক্তি দিয়েছেন, বিশ লক্ষ কোটি টাকার আত্মনির্ভর অভিযানের অঙ্গ হিসেবে কৃষি থেকে ছোট শিল্পে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। তারই ফল মিলতে শুরু করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের তিনি বলেন, ‘‘আর্থিক প্যাকেজ যাতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে রূপায়িত হয়, তার জন্য একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement