National News

ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে তিন তালাক থেকে হালালা, ক্ষুব্ধ বিএইচইউয়ের ছাত্ররা

অভিযোগ, ওই তিনটি বিষয় যখন রোজ খবরের শিরোনাম হচ্ছে, তখন তাদের ওপর একের পর এক প্রশ্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ ধর্মীয় মতাদর্শের মাহাত্ম্য প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেনারস শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:১৫
Share:

বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত।

ইতিহাসে এমএ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ঠেসে দেওয়া হয়েছে তিন তালাক, হালালা আর আলাউদ্দিন খিলজি নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন। যেন ওই তিনটি বিষয় না হলে ইতিহাসটাই হয় না!

Advertisement

সেই প্রশ্নপত্র পেয়ে তো রেগে আগুন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ)-এর পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই তিনটি বিষয় যখন রোজ খবরের শিরোনাম হচ্ছে, তখন তাদের ওপর একের পর এক প্রশ্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ ধর্মীয় মতাদর্শের মাহাত্ম্য প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে ইতিহাস পরীক্ষায়?

Advertisement

প্রশ্ন ১: ইসলাম ধর্মে কাকে বলা হয় ‘হালালা’? তার গুরুত্ব কোথায়?

প্রশ্ন ২: গমের দাম প্রথম বেঁধে দিয়েছিলেন কে? যার উত্তর: আলাউদ্দিন খিলজি।

প্রশ্ন ৩: ইসলাম ধর্মে তিন তালাক আর হালালা প্রথাকে কেন সামাজিক ব্যাধি বলা হয়, আলোচনা করুন।

প্রশ্ন ৪: কে নিজেকে বলতেন ‘সিকন্দর-ই-সানি’?

প্রশ্ন ৫: জিলে আল্লা বলতে কী বোঝায়?

প্রশ্ন ৬: শরফ কায়িনি কে ছিলেন?

প্রশ্ন ৭: স্থাপত্যে সুলতানশাহীর অবদান ছিল কোথায় কোথায়?

আরও পড়ুন- রাতের বিমানে শ্লীলতাহানি জাইরার, ‘ভয়ঙ্কর’ বলে কাঁদলেন অভিনেত্রী​

আরও পড়ুন- গায়ে হলুদ নিয়েই ভোট দিতে এলেন ইনি!​

জোর করে সুকৌশলে ধর্মীয় মতাদর্শ প্রচারের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সহকারী অধ্যাপক রাজীব শ্রীবাস্তবের কথায়, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের ষদি ওই সব বিষয় না শেখানো হয়, সে সব নিয়ে পরীক্ষায় প্রশ্ন না করা হয়, তা হলে তারা ওই সব সম্পর্কে জানবে কী ভাবে? এগুলি তো মধ্যযুগীয় ইতিহাসের অন্যতম প্রধান উপাদান। ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। হচ্ছে। আসল ইতিহাসটা তো মানুষকে জানতে হবে।’’

শ্রীবাস্তব নিজেই প্রশ্ন করেন, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়েই যত আপত্তি, অসন্তোষ! জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যখন বাল্যবিবাহ ও সতীদাহ প্রথার প্রসঙ্গ উছে আসে বার বার, তখন তো কেউ প্রশ্ন তোলেন না!

ওইটুকুতেই থামতে চাননি অধ্যাপক শ্রীবাস্তব। তিনি এও বলেন, ‘‘ইসলাম ধর্মের কিছু ভুল-ভ্রান্তি রয়েছে ঠিকই। সেগুলি নিয়েও আলোচনা করতে হবে। ইতিহাস পড়ানোর সময় আমরা সেগুলি নিয়ে আলোচনা করব। কিন্তু সঞ্জয় লীলা ভংসালীর মতো লোকজন তো আর ছাত্রছাত্রীদের ইতিহাসটা পড়াতে পারেন না!’’

গত সপ্তাহের গোড়ায় আরও এক বার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে কেমন ভাবে জিএসটি-র কথা বলা হয়েছিল?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement