নিজের জবাবি বক্তব্যের একটি বড় অংশে তৃণমূল নেতৃত্বকে উদ্দেশ করে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। গত কাল রেল বিতর্কে তৃণমূলের যে সাংসদেরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের রেল প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সওয়াল করেছিলেন। তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ ছিল, গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে বিরোধী সরকার থাকায় অর্থ বণ্টনের ক্ষেত্রে কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করে চলেছে।
অশ্বিনী বৈষ্ণব। —ফাইল চিত্র।
ভারতের মাটি কি বুলেট ট্রেন চলার যোগ্য? গত কাল লোকসভায় রেল বিতর্কে প্রশ্ন রেখেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, নুসরত জহানরা। জানতে চেয়েছিলেন, তীব্র গতিতে ছোটা বুলেট ট্রেনকে ধারণ করে রাখার ক্ষমতা কি রয়েছে এ দেশের মাটির চরিত্রের। জবাবে ‘দেশের মাটি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য আজ তৃণমূলকে বিঁধে লোকসভায় সরব হলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আঙুল তুলে আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষায় বললেন, ‘‘যে দল মা-মাটি-মানুষের কথা বলে থাকে, তারা মা বা মাটিকে বিশ্বাস করে না। কেমন মানুষ এরা?’’
আজ নিজের জবাবি বক্তব্যের একটি বড় অংশে তৃণমূল নেতৃত্বকে উদ্দেশ করে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। গত কাল রেল বিতর্কে তৃণমূলের যে সাংসদেরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের রেল প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সওয়াল করেছিলেন। তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ ছিল, গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে বিরোধী সরকার থাকায় অর্থ বণ্টনের ক্ষেত্রে কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করে চলেছে। এ বছরেও তার অন্যথা হয়নি।
আজ জবাবে অশ্বিনী বলেন, ‘‘রাজ্যের ১৮টি রেল প্রকল্প জমির অভাবে আটকে রয়েছে। যেগুলো শেষ করতে খরচ হবে ৪৪ হাজার কোটি টাকা।’’ রেলমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, জমি না পাওয়ার কারণেই ওই প্রকল্পগুলি থমকে রয়েছে। জমি হাতে পেলেই রেলও অর্থ বরাদ্দ বাড়াবে।
সুদীপ-নুসরতের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুম্বই-আমদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের ক্ষেত্রে গুজরাত অংশে ৯৯.৭ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তাপ্তী ও নর্মদা নদীর উপরে ইতিমধ্যেই রেলসেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যে ৭৫০টি পিলার খাড়া করার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ এর পরেই তৃণমূল শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে বৈষ্ণব বলেন, ‘‘ভারতের মাটি বুলেট ট্রেন দৌড়নোর উপযুক্ত নয় বলে একজন সাংসদ গত কাল মন্তব্য করেছিলেন। এর চেয়ে লজ্জার আর কী আছে! কে বলেছে ভারতের মাটিতে যথেষ্ট শক্তি নেই?’’ রেলমন্ত্রী সুর চড়িয়ে আরও বলেন, ‘‘এরা মুখে মা-মাটি-মানুষের কথা বলেন, কিন্তু মা বা মাটিকে বিশ্বাস করেন না।’’ এ কথার কড়া প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল। বেশ কিছু তৃণমূল সাংসদ প্রতিবাদ জানাতে ওয়েলে নেমে আসার চেষ্টা করলে স্পিকার ওম বিড়লা হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।