মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্দির চত্বর। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
ন’মাসের প্রতীক্ষার অবসান। করোনাকালের বিধিনিষেধ পেরিয়ে শ্রীক্ষেত্রে ফের প্রভু জগন্নাথের মুখোমুখি হতে পারবেন সাধারণ ভক্তেরা। ধাপে ধাপে মন্দিরের আবহ স্বাভাবিক করে তোলার প্রথম পর্যায়টি আজ, বুধবার সকাল সাতটায় শুরু হবে। তবে শনিবার, ২৬ তারিখ পর্যন্ত শুধু সেবায়েতদের পরিবারের লোকজনই প্রভুর দর্শনের সুযোগ পাবেন। ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত শুধু পুরীর বাসিন্দারা মন্দিরে ঢুকতে পারবেন।
এত দিন শুধু সেবায়েতরাই ন্যূনতম সংখ্যায় দেবসেবায় তাঁদের দায়িত্বের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী মন্দিরে ঢুকতে পেরেছেন। মন্দিরের বর্ষীয়ান সেবায়েত তথা বড়গ্রাহী এবং ওড়িশা সরকার নিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রামচন্দ্র দয়িতাপতি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘গোড়ায় রোজ সর্বোচ্চ ৫০০০ জন ঢুকতে পারবেন। প্রথমে সেবায়েত পরিজনদের অনুমতি দেওয়াটা স্বাভাবিকতায় ফেরার মহড়া।’’ তার পর স্থানীয়দের প্রবেশাধিকার দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পুরীর বাসিন্দারা সহযোগিতা ও শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণেই ভিড় ছাড়া রথযাত্রা বা কার্তিক ত্রয়োদশীতে মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়েছে। তাই প্রথমে তাঁদেরই দর্শনের অধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর পরে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই ক্রমশ সব ভক্ত সুস্থতার প্রমাণ দিয়ে কোভিড-বিধি মেনে দর্শন করতে পারবেন।’’
মন্দির প্রশাসন সূত্রের খবর, লাইনে দূরত্ব রেখে মাস্ক পরে দর্শন সারতে হবে। ফুল বা প্রদীপের মতো কোনও সামগ্রী হাতে মন্দিরে ঢোকা যাবে না। পুরীর বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে গোড়ায় বাড়ি বাড়ি ‘টোকেন’ দিয়ে পুরপ্রশাসন দর্শনের দিন ও সময় বেঁধে দেবে। কারা কোভিডমুক্ত তা খতিয়ে দেখেই এটা ঠিক করা হবে। পরে বাইরের লোককে কোভিড টেস্ট করিয়ে মন্দিরে ঢুকতে হবে।