হামলার পর দীনানগর থানা। ছবি: এএফপি।
পঞ্জাবে জঙ্গি হানায় যে পাক মদতই ছিল তার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। গুরুদাসপুরের হামলাস্থল থেকে একটি জিপিএস উদ্ধারের পর মঙ্গলবার গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ওই জিপিএস সেটটি পরীক্ষা করে এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, সোমবারের হামলায় ওই জিপিএসটি ব্যবহার করে হামলাস্থলে এসেছিল জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জঙ্গিরা গত ২১ অথবা ২২ জুলাই ভোরে এ দেশে অনুপ্রবেশ করেছিল বলেও দাবি গোয়েন্দাদের। প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষার পর এই তথ্যই মিলেছে বলে সূত্রের খবর।
গত কাল পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার দীনানগরে ধারাবাহিক হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় নিহত হয় তিন জঙ্গি। এ ছাড়াও প্রাণ যায় পাঁচ পুলিশ সহ-আট জনের।
হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা জিপিএস সেটটি পরীক্ষা করে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ২১ জুলাই পৌনে ১১টা নাগাদ পাক সীমান্ত ঘেঁষা নারোত-জয়মাল সেক্টরে বসে জঙ্গিদের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের রেকর্ডিং-ও মিলেছে ওই সেট থেকে। কিন্তু, ২২ জুলাইয়ের পর থেকে তা বন্ধ করা ছিল। তবে গত কাল কাকভোরে ফের ওই জিপিএস ‘অন’ করা হয়। এই সমস্ত তথ্য ঘেঁটে গোয়েন্দাদের অনুমান, গত পাঁচ দিন ধরেই ওই এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল জঙ্গিরা। এবং হামলার আগে সম্ভবত গোটা এলাকাটির খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণও করেছিল তারা। এক পুলিশ আধিকারিকের মতে, “জঙ্গিরা সীমান্তের কোনও একটি নদীর পার ধরে বামিয়াল শহর দিয়ে হামলাস্থলে এসেছিল।”
হামলার পর প্রমাণ সংগ্রহে নেমেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। জঙ্গিদের পরিচয় জানায় জন্য চণ্ডীগঢ়ের ফরেন্সিক দল দীনানগর থানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। যে গাড়িটি হাইজ্যাক করে জঙ্গিরা থানায় এসেছিল সেটিও পরীক্ষা করেন তাঁরা। পঞ্জাবের পুলিশ প্রধান সুমেধ সিংহ সাইনি জানিয়েছেন, জঙ্গিরা একে-৪৭ রাইফেল ও চিনে তৈরি গ্রেনেড নিয়ে এসেছিল।
সিসিটিভি ফুটেজেও জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের ছবি ধরা পড়েছে। ছবিতে দেখা গিয়েছে, হাতে অস্ত্র নিয়ে সেনার উর্দি পরে দীনানগরের দিকে যাচ্ছে তারা। পথেই একটি রেললাইনে বোমা রাখে তারা।