শস্যের গোড়া পোড়ানো হচ্ছে। ছবি: পিটিআই।
শীতের মরসুম এলেই শস্যের গোড়া পোড়ানোর কাজ শুরু হয়ে যায় পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে। যার জেরে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বাড়ে বলে বার বারই অভিযোগ ওঠে। এ বারও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু এ বার শস্যের গোড়া পোড়ানোর বিষয়ে অনেকটাই সতর্ক দিল্লির এই প্রতিবেশী রাজ্যগুলি। কিন্তু তার পরেও রাজ্যের কোথাও কোথাও শস্যের গোড়া পোড়ানোর কাজ চলছে।
শস্যের গোড়া পোড়ানোর কাজ কোথায় হচ্ছে, তা নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করছে পঞ্জাব সরকার। শস্যের গোড়া পোড়ানো যাতে বন্ধ করা যায়, তার জন্য বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালাতে পাঠানো হচ্ছে সরকারি আধিকারিকদের। তেমনই রাজ্যের ভাতিন্ডা জেলার একটি গ্রামে এই নজরদারি চালাতে গিয়েছিলেন এক সরকারি আধিকারিক। সেই সময় তিনি দেখতে পান এক দল কৃষক শস্যের গোড়া পোড়াচ্ছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আধিকারিক তাঁদের কাছে জানতে চান, কেন তাঁরা এই কাজ করছেন? সরকারি আধিকারিককে গ্রামে ঢুকতে দেখে প্রায় ৫০-৬০ জন কৃষক তাঁকে ঘিরে ধরেন। তার পর তাঁকে দিয়েই শস্যের গোড়া পোড়াতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের কাছেও সেই ভিডিয়ো পৌঁছয়। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অভিযুক্ত কৃষকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শস্যের গোড়া পোড়ানো হচ্ছে কি না নজরদারি চালাচ্ছিলেন এক সরকারি আধিকারিক। তাঁকে দিয়ে জোর করে শস্যের গোড়া পোড়ানো হয়। এই ঘটনা বরদাস্ত করব না।”
ভাতিন্ডার ডেপুটি কমিশনার শেখওয়াত আহমেদ পারে জানিয়েছেন, পুলিশ সুপারকে অভিযুক্ত কৃষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। তাঁর কথায়, “একসঙ্গে ৫০-৬০ জন কৃষক ওই সরকারি আধিকারিককে ঘিরে ধরেছিলেন। তাঁর কাছে বিকল্প কোনও উপায়ও ছিল না। আমি নিজে ওই গ্রাম ঘুরে এসেছি। অভিযুক্তদের কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না।”