দূষণে হাঁসফাঁস দিল্লি। ছবি: পিটিআই।
টানা ছ’দিন ধরে দিল্লির দূষণ পরিস্থিতির উন্নতির কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বরং পরিস্থিতি ভয়ানক থেকে অত্যন্ত ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) চারশোর উপরে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে দিল্লিবাসীদের।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকালে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ৪৬০। ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা রাজধানী। সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, রবিবার আয়ানগরের একিউ পৌঁছেছে ৪৬৪-তে। দ্বারকার সেক্টর ৮-এ ৪৮৬, জহাঙ্গিরপুরীতে ৪৬৩ এবং ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-তে একিউআই ৪৮০।
পরিবেশবিদরা বলছেন, দিল্লিতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে শুধু মানুষের উপরই প্রভাব পড়ছে না, পশুপাখিদের উপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। শহরের এক পশু চিকিৎসক জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ধরা পড়েছে এমন ১০টি পাখিকে চিকিৎসা করেছেন তিনি। দিল্লি পুরনিগম জানিয়েছে, দূষণ পরিস্থিতি সামলাতে ৫১৭টি নজরদারি দল গঠন করা হয়েছে। ১,১১৯ জন আধিকারিককে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় জল ছেটানো হচ্ছে। স্মগ গান দিয়ে ধোঁয়াশা কাটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দূষণ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে এমন এলাকাগুলিতে জল ছেটানো হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপ পর্যায় এমনকি অত্যন্ত ভয়ানক পর্যায় গিয়ে ঠেকেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও।
৩ এবং ৪ নভেম্বর রাজধানীর সমস্তা প্রাথমিক স্কুলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দূষণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় প্রাথমিক স্কুলগুলি ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে। তবে তাদের জন্য অনলাইনে ক্লাস করার বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী আতিশী।