নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম দোষী ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম দোষী, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিংহের ছবিকে প্রচার অভিযানে ব্যবহার করায় প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ল পঞ্জাব নির্বাচন কমিশন। জনমতের চাপে পড়ে সেই ছবি বাতিল হয়েছে। উল্টে মুকেশের ছবি কী ভাবে ছাপা হল তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, গোটা ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। কিন্তু দিল্লি মহিলা কমিশন আজ ওই কাণ্ডে দোষী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়া নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের নির্বাচন কমিশন দফতরের বিজ্ঞাপনে দুই মহিলা ও এক পুরুষের ছবি ছাপা হয়। সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা-সব মানুষকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে হোর্ডিং লাগানো হয় জেলার বিভিন্ন স্থানে। গত শুক্রবার প্রথম সেই পুরুষের ছবিটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সোরাভ সিংহ নামে এক ব্যক্তি গুরুদাসপুরের নির্বাচন কমিশনের দফতরে প্রথম মুকেশের ছবিকে শনাক্ত করেন। তিনি কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, দুই মহিলার সঙ্গে যে পুরুষের ছবি ছাপা হয়েছে সে দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম দোষী। অভিযোগ জমা পড়তেই তোলপাড় শুরু হয়। তড়িঘড়ি নামিয়ে নেওয়া হয় সমস্ত বিতর্কিত হোর্ডিং। কী ভাবে মুকেশের ছবি ছাপা হল তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হোশিয়ারপুর জেলার ডেপুটি কমিশনার ইশা কালিয়া।
মুকেশের ছবি ছাপার প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লি মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন নির্ভয়ার মা আশা সিংহ। ক্ষুব্ধ মালিওয়াল বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে আজ চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সচিবকে। কমিশন কর্তারা জানাচ্ছেন, সাধারণত হোর্ডিং লাগানোর দায়িত্ব বাইরের সংস্থার হাতে থাকে। সম্ভবত ভুলটা সেই বাইরের সংস্থাই করেছে। কিন্তু হোর্ডিং-এর প্রচারে কী ছবি ও লেখা থাকছে তার সর্বশেষ ছাড়পত্র দেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন দফতরের আধিকারিকদের। সে ক্ষেত্রে পঞ্জাবের কমিশন কর্তারা নিজেদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না বলেও কমিশন কর্তাদের একাংশের মত।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।