ছবি: সংগৃহীত।
সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে বিএসএফের কাজের পরিধি বাড়ানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথম সাংবিধানিক পদক্ষেপ করল পঞ্জাব। বৃহস্পতিবার সে রাজ্যের বিধানসভায় এ বিষয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ হয়েছে। পঞ্জাবের শাসকদল কংগ্রেসের পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আম আদমি পার্টি এবং শিরোমণি অকালি দলের বিধায়কেরাও সমর্থন করেছে ওই প্রস্তাব। বিজেপি-র দুই বিধায়ক ভোটাভুটিতে অংশ নেননি।
পঞ্জাব বিধানসভায় বৃহস্পতিবার গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘বিএসএফ-এর কর্মক্ষেত্রের পরিধি ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার বাড়ানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত আসলে পঞ্জাবের জনগণ এবং পুলিশের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের অবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।’’ দেশপ্রেমিক পঞ্জাব পুলিশ ভারতের অখণ্ডতা ঐক্য রক্ষায় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সক্রিয় বলেও ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফ বাহিনীর কর্মক্ষেত্রের পরিধি ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার কথা ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্দরে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফ বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চালানো এবং গ্রেফতারের অধিকার থাকবে।
পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থানের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে আগেই। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিধানসভায় প্রস্তাব আনবেন তাঁরা।