দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ‘সুবিধা করে দিতে’ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করতে পারে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে। রবিবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আম আদমি পার্টি (আপ)-এর শীর্ষ নেতার বক্তব্য, যখনই বিজেপি বোঝে তারা ভোটে হারবে, তখনই বিরোধীদের পিছনে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে লেলিয়ে দেয়।
২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে ভোট। তার প্রস্তুতির কাজে এখন ওই রাজ্যেই রয়েছেন জৈন। এ দিন কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের সূত্র মারফত জেনেছি, পঞ্জাবের ভোটের মুখে ইডি সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করতে চলেছে। যেহেতু ভোট এসেছে, এখন তল্লাশি, গ্রেফতারি ইত্যাদি হবে। আমরা তাতে ভয় পাই না, কারণ আমরা কোনও অন্যায় করিনি। বিজেপি তাদের সমস্ত সংস্থাকে পাঠাক। শুধু সত্যেন্দ্র জৈন নয়, আমার কাছে, মণীশ সিসৌদিয়ার কাছে, ভগবন্ত মানের কাছে পাঠাক। আমরা হাসিমুখে তাঁদের স্বাগত জানাব।’’
এই সূত্রে পঞ্জাবের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নীকে একহাত নিয়েছেন কেজরীওয়াল। সম্প্রতি চন্নীর ভাইপোর বাড়িতে ইডি হানা দেয়। চন্নী অভিযোগ তোলেন, পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয়ের সঙ্গে যা হয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে পঞ্জাবে। কেজরীওয়াল বলেন, অতীতে তাঁর নিজের বাড়ি ছাড়াও উপমুখ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। আপের ২১ জন বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। তাঁর দাবি, চন্নী অন্যায় করেছিলেন বলেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। আপের সে সব ভয় নেই। তারা ‘চন্নীজির মতো কান্নাকাটি’ করবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন সত্যেন্দ্র জৈনও। তিনি বলেছেন, ‘‘এ সবই রাজনীতির খেলা। পঞ্জাবের গত ভোটের সময়েও একই ব্যাপার হয়েছিল। দু’বার আমাকে তল্লাশির মুখে পড়তে হয়েছে। তাতে কোনও লাভ হয়নি। সিবিআই, ইডি সবাইকে স্বাগত। আমি তৈরি। যখন ইচ্ছে এসে আমাকে গ্রেফতার করতে পারেন।’’