হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুক। —ফাইল চিত্র
পুলওয়ামা হামলারদু’দিন আগেই শ্রীনগরে গিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আর রবিবারই জারি হল নির্দেশিকা। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার জেরে পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। তালিকায় এখনও পর্যন্ত অবশ্য পাকিস্তানপন্থী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির নাম নেই। তবে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের আর কে কে কী ধরনের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুবিধা পান, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। ফলে তালিকায় আরও অনেকেই যুক্ত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তা তুলে নিয়ে সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কড়া বার্তা দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা থেকেই পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার জন্য বরাদ্দ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ গাড়িও নিয়ে নেওয়া হবে। ওই নির্দেশে আরও কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁদের বা অন্য কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে আর কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হবে না।
নিরাপত্তা তুলে নেওয়া পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের মধ্যে অন্যতম, মিরওয়াইজ উমর ফারুক। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন আবদুল গনি ভাট, বিলাল লোন, হাসিম কুরেশি এবং সাবির শাহ। কিন্তু তালিকাটা যে এখানেই শেষ নয়, তার ইঙ্গিত মিলেছে ওই নির্দেশিকাতেই। বলা হয়েছে, আরও কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা এই ধরনের নিরাপত্তা পান কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। সেরকম কেউ থাকলে, তাদের নিরাপত্তাও সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘হিন্দুস্তানকো রোনা চাহিয়ে’! পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিদের বার্তা দিয়েছিল মাসুদ আজহার
আরও পডু়ন: আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ২০০ শতাংশ করা হল, পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া ভারত
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হানায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৯। এই হামলার পরের দিনই জম্মুতে পরিদর্শনে যান রাজনাথ সিংহ। সেখানে তিনি বলেন, জম্মু কাশ্মীরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, ‘‘যাদের পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)