গেরুয়া শিবির তাঁর নামে দেশদ্রোহের মামলা করেছে। রবিবার বিহারে জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন সেই কানহাইয়া কুমারই। ছবি: টুইটার।
নির্বাচনী সভায় ব্যস্ত তাঁরা। তাই জঙ্গিদের হামলা নিহত সিআরপি অফিসারকে শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন না বিহারের কোনও মন্ত্রী। আজ এমনটাই ঘটেছে পটনায়। এতে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিহারের এনডিএ সরকার।
গত শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারায় জঙ্গিদের গুলিতে মারা যান সিআরপি ইনস্পেক্টর পিন্টুকুমার সিংহ। আজ সকালে তাঁর মরদেহ পটনার বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে এনডিএর কোনও নেতা-নেত্রীকেই দেখা যায়নি। আসেননি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। এনডিএ-র প্রচার শুরু করতে গাঁধী ময়দানে আজ নরেন্দ্র মোদীর সভা। ছিলেন নীতীশ ও জোটের তাবৎ নেতারা। সেই সভায় যোগ দিতে দিল্লি থেকে পটনায় এসেছেন বেশ কয়েক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। তাঁদের এক জনকেও এ দিন দেখা যায়নি বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে বেগুসরাইয়ে বাড়ি পিন্টু সিংহের। সেখান থেকে পটনায় মরদেহ নিতে এসেছিলেন সিআরপি অফিসারের ভাই। ক্ষোভ সামলাতে না পেরে তিনি বলেই ফেললেন, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’ সিআরপির ইনস্পেক্টরকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পটনার বিমানবন্দরে এ দিন হাজির ছিলেন পটনার জেলাশাসক কুমার রবি, সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা।
তবে দিন পনেরো আগেও কিন্তু অন্য রকম ছিল ছবিটা। পুলওয়ামা কাণ্ডে নিহত বিহারের দুই জওয়ানের দেহ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পটনা বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ, উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সমেত রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্যেরা। আর আজ গাঁধী ময়দানে এনডিএ-এর ‘সংকল্প যাত্রা’ সভা থেকেই পিন্টু সিংহকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দায়িত্ব সেরেছেন নীতীশ ও মোদী।
বিমান বন্দরে হাজির ছিলেন বিহার কংগ্রেসের সভাপতি মদনমোহন ঝা। তিনি শ্রদ্ধা জানানোর পরে বলেন, ‘‘আমরা কোনও রাজনীতি করতে এখানে আসিনি। শ্রদ্ধা জানাতেই এসেছি।’’
তিনি ছাড়াও রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির টিকিটে জেতা খগরিয়ার সাংসদ মেহেবুব আলি খায়সারও হাজির হয়েছিলেন। যদিও দলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক নেই কায়সারের। কংগ্রেসের টিকিটে তিনি লড়বেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি গিয়েছিলেন মদমমোহন ঝায়ের সঙ্গেই। কায়সার এ দিন বিমানবন্দরেই নীতীশ এবং বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করেন।