প্রেমের টানে সুদূর উত্তরাখণ্ড থেকে অরুণাচল পাড়ি দিয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু প্রেম এল না। বরং চলে গেল দু’টি জীবন। অরুণাচল প্রদেশের নামসাইয়ের ঘটনা।
পুলিশ জানায়, মণিপুরের একটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ব অরুণাচলের নামসাইয়ে বসবাস করত।
গৃহকর্তা একটি দর্জির দোকান চালান। তাঁর মেয়ে বিজিতা দু’বছর আগে বেঙ্গালুরুতে একটি ‘জব ফেয়ার’-এ যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের বাসিন্দা রাজীব নাগরাকাটার আলাপ। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পর তাঁরা একসঙ্গে দিল্লিতে থাকতেও শুরু করেন। কিন্তু বিজিতার পরিবারের দাবি, রাজীব বিজিতাকে মারধর করায় তিনি বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
৫ মে পিথোরাগড় থেকে বিজিতার সন্ধানে নামসাইয়ে আসেন রাজীব। বিজিতার বাড়ি খুঁজে বার করে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হন তিনি। তখন বিজিতা ও তাঁর মা বাড়ি ছিলেন না। পরে তাঁরা ফিরলে রাজীব বিজিতাকে নিয়ে দিল্লি ফিরে যেতে চান। কিন্তু বিজিতা রাজি হননি।
বচসা চলাকালীন ব্যাগ থেকে দা বের করে বিজিতাকে আঘাত করেন রাজীব। বাধা দিতে গেলে তাঁর মাকেও আঘাত করেন তিনি। ঘটনাস্থলেই বিজিতার মৃত্যু হয়। আশপাশের মানুষ জড়ো হন। রাজীব পালাতে গেলে তাঁকে ধরে বেধড়ক মারা হয়। তিনিও ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। বিজিতার মা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডিব্রুগড়ের অসম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। রাজীবের দেহ রয়েছে মর্গেই।