বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক জয়লাল দাস।
দরকার পড়লে সিপিএম নেতা-কর্মীদের হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতা। বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক জয়লাল দাসের সেই বিতর্কিত বক্তৃতার ভিডিয়ো সামনে আসতেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমায় বিজেপি যুবমোর্চার সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। সেখানেই জয়লাল ভাষণ দিতে উঠে বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করলে, প্রতিরোধ করুন। প্রয়োজন হলে হাড়গোড় ভেঙ্গে দিন, তবু সিপিএম-কে ঘুরে দাঁড়াতে দেবেন না।”
এখানেই থেমে যাননি জয়লাল। আগামী দিনে রাজ্যে পুর-পঞ্চায়েত বা লোকসভা ভোটে সিপিএম যেন কোনও মনোনয়ন পেশ করতে না পারে, সে দিকেও যুব বিজেপি কর্মীদের নজর দিতে বলেছেন তিনি।
দেখুন ভিডিয়ো..
পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের ইস্যুতে, বা ভোটে মনোনয়ন পেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগে, বিজেপি যখন সরব, ঠিক তখনই নিজেদের ক্ষমতায় থাকা রাজ্যে এ ধরনের বক্তব্য দলের উপরতলা কী ভাবে দেখছে এখনও জানা যায়নি। ত্রিপুরার বিজেপি যুবমোর্চার সভাপতি টিঙ্কু রায়কে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর এড়িয়ে যান। বলেন, “আমি আগরতলায় ছিলাম না। আজকেই এসেছি ধর্মনগর থেকে। ওনার সাথে ফোনে কথাও হয়নি। সামাজিক মাধ্যমের এই সব দেখে কিছু পরিষ্কার হওয়া যায় না। এখানে যে কেউ এডিট করে অনেক কিছু দিয়ে দিতে পারে। দেখা হলে জিজ্ঞেস করব বিষয়টি নিয়ে।”
আরও পড়ুন
ব্যাগে ভ্রূণ নিয়ে থানায় হাজির তরুণী, অভিযোগ তুললেন ধর্ষণের
সিপিএম অবশ্য এই বক্তব্যের নিন্দা করার পাশাপাশি, চ্যালেঞ্জও ছুড়েছে বিজেপির দিকে। দলের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সম্পাদক পবিত্র কর বলেছেন, “আমরা এদের চ্যালেঞ্জ করছি লাল পতাকা মুছে দিক, এই পতাকা মোছার ক্ষমতা হিটলালেরও হয়নি। কণ্ঠস্বরটি যুবমোর্চার হতে পারে, কিন্তু এটা আসলে বিজেপিরই।” পবিত্রের মতে, সামনের লোকসভা ভোটে আর ফিরে আসতে পারবে না বিজেপি।