সেনার গুলিতে দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে উঠল দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ত্রাল এলাকা। সেই বিক্ষোভে যোগ দিতে আসার পথে আটক করা হল বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক এবং মাসারাত আলমকে। শান্তি বজায় রাখতেই তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক কর্তা।
সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত কাল কমলা জঙ্গল চত্বরে টহলরত সেনা দলকে নিশানা করে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। সেই সংঘর্ষেই মৃত্যু হয় এক যুবকের। জঙ্গিদের গুলিত আহত হন এক সেনাও। মঙ্গলবার সেনার মুখপাত্র আরও জানান, নিহতের পরিচয় জানা গিয়েছে। সে হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার বুরহানের খালেদ ওয়ানি। নিহতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি এ কে ৪৭ এবং অন্যান্য কিছু সরঞ্জাম। তার মধ্যে একটি এ কে ৪৭-কে চিহ্নিত করা হয়েছে নিরাপত্তা কর্মীদের বন্দুক হিসেবে।
গত বছর অগস্টে বন্দুকটি এক পুলিশকর্মীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল জঙ্গিরা। এ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ধরা হয়েছে আরও তিন যুবককে। সেনা সূত্রের দাবি, আটক তিন যুবক জানিয়েছে যে খালিদ তাদের বুরহানের সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে যাচ্ছিল। ওই জঙ্গলের কাছেই একটি ঘাঁটিতে বুরহান ও তার কয়েক জন সঙ্গী গা-ঢাকা দিয়ে থাকত। মঙ্গলবার ওই জঙ্গলে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আরও এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন যাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর নাম ইউনিস আহমেদ গনি। সে-ও ত্রালেরই বাসিন্দা।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভুয়ো সংঘর্ষে মেরে ফেলা হয়েছে ওই যুবকদের। তাঁদের কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গেই কোনও যোগ নেই। এই অভিযোগের পরে ঘটনাটির পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে বিক্ষোভের আঁচ কমেনি।