সিএনজি গ্যাস না পাওয়ার ক্ষোভে আজ দূরদর্শন কেন্দ্র সংলগ্ন জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন আগরতলার শ’দুয়েক অটো চালক এবং বেসরকারি গাড়ির মালিক। পুলিশের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত সড়ক অবরোধ উঠলেও সাধারণ যাত্রী, বহু স্কুলের গাড়ি বেশ কিছু ক্ষণ দুর্ভোগে পড়ে। সকালে অফিস-কাছারির ব্যস্ততম সময়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন অটোচালকরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার অভিজিৎ সপ্তর্ষি বলেন, ‘কিছু অটোচালক জাতীয় সড়ক অবরোধ করায় কিছু ক্ষণের জন্য বাধারঘাট এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ অটো চালক পিন্টু দেবনাথ জানান, ‘‘সিএনজি গ্যাস পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে থাকতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগীরা সড়ক অবরোধ করছেন।’’ বাধারঘাটে সিএনজি সরবরাহকারী সংস্থার এক প্রতিনিধি জানান, গাড়ির সিলিন্ডার সংক্রান্ত ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলে সিএনজি দেওয়া যাবে না বলে সরকারি নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু শহরের অটোর একাংশের সিলিন্ডারের ফিটনেসের মেয়াদ ফুরিয়েছে আগেই। পুনর্নবীকরণ করানো হয়নি। তার পরেও এ ধরনের অটো বা গাড়ির চালক সিএনজি ব্যবহার করতে চাইছেন। প্রতিটি সিএনজি গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সময় লেগে যাচ্ছে।
সিএনজি ব্যবহারকারী অটো বা গাড়ির সিলিন্ডারের ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ আগে থাকত পাঁচ বছর। বর্তমানে কেন্দ্রীয় আইন অনুসারে এই ফিটনেস সার্টিফিকেট-এর পুনর্নবীকরণ করাতে হয় তিন বছর অন্তর। ত্রিপুরা ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানির (টিএনজিসিএল) এক আধিকারিক জানান, আইন বদলের বিষয়টি ওয়ার্কশপ করে সিএনজি অটো ও গাড়ির মালিকদের জানানো হয়েছিল।
টিএনজিসিএলের এমডি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘বিষয়টিতে চালক, আরোহী এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। নিরাপত্তার বিষয়টি যেহেতু প্রথম, তাই সরকারি নির্দেশ নমনীয় করা হবে না।’ সিএনজি ব্যবহারকারীদের সিলিন্ডারের ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলে গ্যাস সরবরাহ করা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন টিএনজিসিএলের এমডি। শহর থেকে কিছুটা দূরে সিএনজি স্টেশনের সামনে গত কাল একই কায়দায় অবরোধ করেছিলেন অটো-চালকরা।