ফাইল চিত্র।
একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে দেড়শো দিনের কাজের প্রকল্প করার সুপারিশ করল সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইউপিএ সরকারের এমজিএনআরইজিএ-কে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘গর্ত খোঁড়ার প্রকল্প’। লকডাউনের পরে সেই একশো দিনের কাজের প্রকল্পই গ্রামে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ভরসা হয়ে উঠেছিল। এ বার গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করল, কাজের চাহিদা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে এই প্রকল্পে বছরে একশো দিনের কাজের গ্যারান্টির বদলে দেড়শো দিনের কাজের গ্যারান্টি দেওয়া হোক। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়ানো হোক মজুরি। কোভিডের সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাজের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বছরের গোড়াতেই যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ করা হোক।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটে আগামী অর্থ বছরের জন্য একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ৭৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। গত বছরেও তিনি প্রথমে ৭৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। পরে কাজের চাহিদা দেখে তা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়। আজ শিবসেনা সাংসদ প্রতাপরাও যাদবের নেতৃত্বাধীন স্থায়ী কমিটি তার রিপোর্টে বলেছে, কোভিডের বছরে গ্রামে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দিতে এমজিএনআরইজিএ-তে ১.১১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কেন পরের বছর, ২০২১-২২-এ ৭৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়, তা আশ্চর্যজনক। প্রথম ছয় মাসেই ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়ে গিয়েছিল।
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে মজুরি বৃদ্ধির সুপারিশ করে স্থায়ী কমিটির বক্তব্য, আবার হরিয়ানায় ৩১৫ টাকা। অধিকাংশ রাজ্যে মজুরির হার ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে মজুরি বাড়ানো দরকার। সব রাজ্যেই সমান মজুরির নীতি নেওয়া প্রয়োজন। স্থায়ী কমিটির মতে, কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পরিকাঠামো তৈরিতে খরচ করছে। একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রেও ভাবনাচিন্তা বদলাতে হবে।