অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
পর পর পাঁচ বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র সমন এড়িয়ে গিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ করল, আবগারি নীতিকাণ্ডে পাঁচ বার তাঁকে সমন পাঠানো হলেও হাজিরা দেননি আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান। বুধবার মামলাটি শুনবে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।
শুক্রবার কেজরীওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। তিনি হাজিরা দিতে যাননি। জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই সমন বেআইনি। তাঁকে গ্রেফতার করাই মূল উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এর আগে ২ নভেম্বর, ২১ ডিসেম্বর, ৩ জানুয়ারি, ১৩ জানুয়ারি সমন পাঠানো হয়েছিল কেজরীওয়ালকে।
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রচারে থাকার কারণে প্রথম বার ইডির দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। এর পর কখনও অন্য কাজ থাকার কথা, কখনও ১০ দিনের বিপাসনায় যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে সমন এড়িয়ে গিয়েছেন আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান। তিনি এমন অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ সমন পাঠানো হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা বিপক্ষের ‘কৌশল’ বলেও দাবি করেছেন তিনি। ইডির পদক্ষেপের নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক প্ররোচনা’ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আপ অভিযোগ করেছে, তাদের নেতা যাতে লোকসভা ভোটের প্রচারে যেতে না পারেন, সে কারণে এ সব করা হচ্ছে।
গত বছর এপ্রিলে এই মামলায় কেজরীওয়ালকে ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। যদিও এই মামলায় তিনি অভিযুক্ত নন। সে সময় কেজরীওয়াল বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই মোট ৫৬টি প্রশ্ন করেছে। সব কিছু ভুয়ো। ভুয়ো মামলা। আমি নিশ্চিত, আমাদের বিরুদ্ধে ওদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই।’’ প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ তিহাড়ে রয়েছেন। অভিযোগ, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দিচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি পরে খারিজ করা হয়। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তৎকালীন লেফটেনান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা।