প্রিয়ঙ্কা বঢ়রার রাজনীতিতে আসা হঠাৎ করে হয়নি। কয়েক বছর আগেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল গাঁধী পরিবার। তবে বাচ্চারা ছোট থাকায় প্রিয়ঙ্কা এত দিন রাজনীতিতে আসেননি। ভুবনেশ্বরে এক আলাপচারিতা পর্বে আজ এ কথা জানান রাহুল গাঁধী। সঙ্গে এ-ও জানান, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনই মূল লক্ষ্য প্রিয়ঙ্কার।
ভুবনেশ্বরে রাহুল এ দিন তাঁর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়েও প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কার রাজনীতিতে আসার সময় নিয়ে কয়েক বছর আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে বাচ্চারা ছোট থাকায় প্রিয়ঙ্কা রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেনি। এখন ওদের এক জন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, অন্যজনও বড় হয়ে গিয়েছে। তাই রাজনীতিতে এসেছে প্রিয়ঙ্কা।’’ প্রশ্ন হয়, কংগ্রেসের রাজনীতিতে তাঁর বোনের ভূমিকা ঠিক কী হবে? রাহুল জানান, প্রিয়ঙ্কার মূল কাজ, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে নতুন করে গড়ে তোলা। তার বাইরে অন্য কোনও ভূমিকা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঠাকুমা ইন্দিরা গাঁধী, বাবা রাজীব গাঁধীর হত্যার পরে তাঁদের পরিবার যে বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে, সেই ঝড় ভাই-বোনের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে বলেই মনে করেন রাহুল। বলেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে নরকের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। সবাই ভাবে, আমাদের জন্য সব কিছু সহজ ছিল। কিন্তু ব্যাপারটা তেমন ছিল না। খুবই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল আমাদের। এতে আমরা আরও কাছাকাছি এসেছি।’’ দু’জনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা বোঝাতে গিয়ে দাদার মন্তব্য, ‘‘আমি আর প্রিয়ঙ্কা যদি আলাদা ঘরে বসে থাকি, আর আপনারা আমাদের একই প্রশ্ন করেন, তা হলে দু’জনের ৮০ শতাংশ জবাবই মিলে যাবে।’’ রাহুল জানান, তাঁরা পরস্পরকে স্বাধীনতা দেওয়ায় বিশ্বাসী। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দু’জনে সব সময়েই আলোচনা করেন।