রবার্টকে নিয়ে যেতে ইডি-র দফতরে প্রিয়ঙ্কা

রবার্ট বঢরাকে অস্ত্র করে গাঁধী পরিবারকে আজ লোকসভায় দাঁড়িয়ে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা সত্ত্বেও আবার স্বামী রবার্টের পাশে থাকারই বার্তা দিলেন প্রিয়ঙ্কা বঢরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

ইডি-র দফতরের বাইরে স্বামী রবার্ট বঢরার সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা। বুধবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: রয়টার্স

রবার্ট বঢরাকে অস্ত্র করে গাঁধী পরিবারকে আজ লোকসভায় দাঁড়িয়ে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা সত্ত্বেও আবার স্বামী রবার্টের পাশে থাকারই বার্তা দিলেন প্রিয়ঙ্কা বঢরা।

Advertisement

গত কাল প্রায় ছ’ঘণ্টা জেরার পর আজও লন্ডনে তাঁর বেনামি সম্পত্তির অভিযোগ নিয়ে বঢরাকে প্রায় ৯ ঘণ্টা জেরা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। ইডি-র অফিসে বুধবার রবার্টকে পৌঁছে দিয়ে কংগ্রেস দফতরে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। আজ কংগ্রেস দফতর থেকে বেরিয়ে রবার্টকে জেরার শেষে তাঁকে ইডি-র অফিস থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন রাজীব-কন্যা। দলের বৈঠক সম্পূর্ণ হওয়া এবং রবার্টের জেরা শেষ হওয়ার মধ্যের সময়টা প্রিয়ঙ্কা কাটিয়েছেন ১০ জনপথে, সনিয়া গাঁধীর বাসভবনে।

আজ সনিয়ার উপস্থিতিতে লোকসভায় হাতে তালি বাজিয়ে রবার্টের জেরার দিকে ইঙ্গিত করে মোদীর কটাক্ষ, ‘‘বেনামি সম্পত্তি বার হচ্ছে। কোথায় কোথায়? কেমন কেমন? কার কার? কবে কবে?’’

Advertisement

রাহুল গাঁধীর তোলা রাফাল দুর্নীতির অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাঁটা হয়ে উঠেছে। পাল্টা অস্ত্র হিসেবে বিজেপি অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের থেকে চপার কেনায় দুর্নীতির সঙ্গে গাঁধী পরিবারের জামাইয়ের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। আজ ইডি-র জেরায় প্রতিরক্ষা বরাতের দালাল পলাতক সঞ্জয় ভাণ্ডারির নথিপত্রও রবার্টকে দেখানো হয়। বঢরা অবশ্য ভাণ্ডারির সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। সন্ধ্যায় লোকসভায় সে দিকে ইঙ্গিত করে মোদী বলেন, ‘‘কংগ্রেসের জমানায় কোনও প্রতিরক্ষা চুক্তি দালালি ছাড়া হত না। সেখানে কোনও চাচা, কোনও মামা থাকে।’’ বিদেশ থেকে ক্রিশ্চিয়ান মিশেলদের ফিরিয়ে আনায় কংগ্রেসের চিন্তা বেড়েছে বলেও ইঙ্গিত করেন প্রধানমন্ত্রীর।

আজ সওয়া ১১টা নাগাদ ইডি দফতরে রবার্ট রওনা হওয়ার আগেই রাহুলের বাড়িতে যান প্রিয়ঙ্কা। দু’ঘণ্টা জেরার পর বঢরাকে মধ্যাহ্নভোজের সুযোগ দেন তদন্তকারীরা। যতক্ষণ না মধ্যাহ্নভোজনের জন্য রবার্ট বিরতি পাচ্ছেন, রাহুল দলের সংখ্যালঘু সেলের অনুষ্ঠানে যাননি। তার পর সেখানে গিয়ে সিবিআই, ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের দিকে ইঙ্গিত করে রাহুল বলেন, ‘‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একটা প্রতিষ্ঠানকেও ছাড়েননি। চারজন প্রবীণ বিচারপতি পরোক্ষে বলে দিয়েছেন, অমিত শাহ সুপ্রিম কোর্টকে কাজ করতে দিচ্ছেন না। ওরা সব প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করে।’’

বঢরার বিরুদ্ধে ইডি-র মূল অভিযোগ, তিনি বেনামে লন্ডনে ছ’টি ফ্ল্যাট এবং দু’টি বাড়ি কিনেছেন। কংগ্রেসের অস্বস্তিতে বাড়াতে আজ ন’টি ইমেল প্রকাশ করেছে বিজেপি। অভিযোগ, লন্ডনের সম্পত্তি নিয়ে রবার্ট এবং সঞ্জয় ভাণ্ডারির ভাই সুমিত চাঢার মধ্যে ওই ইমেলগুলি চালাচালি হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement