‘পাশে আছি’: ‘কৃষক মহাপঞ্চায়েতে’ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। সোমবার উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে। ছবি—পিটিআই।
রাহুল গাঁধী লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদদের নিয়ে কৃষক আন্দোলনে মৃতদের জন্য নীরবতা পালন করেছিলেন। সোমবার পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা কিসান মহাপঞ্চায়েতে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেই মৃতদের জন্য নীরবতা পালন করলেন। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, সংসদে আন্দোলনকারী কৃষকদের ‘আন্দোলনজীবী’ ও ‘পরজীবী’ বলে প্রধানমন্ত্রী ‘শহিদ’ কৃষকদের অপমান করেছেন।
কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মাঠে নামার পরে প্রিয়ঙ্কা একের পর এক কিসান মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিতে শুরু করেছেন। এ দিন রোদ মাথায় করেই কিসান মহাপঞ্চায়েতে ভিড় জমিয়েছিলেন বিজনৌরের মানুষ। এআইসিসি-তে উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রিয়ঙ্কা বলেন, “আমি শহিদ পরিবারের কন্যা। শহিদত্ব অনেক বড় বিষয়। শহিদের পরিবারকেও অনেক কিছু সহ্য করতে হয়। সেই শোক সারা জীবন বুকের মধ্যে রাখতে হয়। তাকে পরিহাস করার অধিকার কারও নেই। তা সে প্রধানমন্ত্রীই হোন বা যেই হোন!”
তিনি সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়ান। কিন্তু বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে দিল্লির সীমানায় বসে থাকা কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেননি। প্রিয়ঙ্কা বলেন, “যে কৃষক আপনার দরজায় দাঁড়িয়ে, তাঁরই ছেলে আপনার সীমান্তে পাহারা দিচ্ছে, বা আপনার দেহরক্ষীর কাজ করছে। তাঁকে অপমান করার কোনও অধিকার আপনার নেই।”
লোকসভায় রাহুল গাঁধীর প্রস্তাবে বিরোধী সাংসদরা নীরবতা পালন করায় বিজেপি সাংসদরা রাহুলের বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব এনে তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন। প্রিয়ঙ্কা বিজনৌরে বলেন, “প্রত্যেক বিরোধী সাংসদ ২ মিনিট নীরবতা পালন করেছেন। রাহুল গাঁধী আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আমি আপনাদের পাশ থেকে সরব না। যখনই আপনারা সঙ্কটে পড়বেন, আপনাদের পাশে থাকব। এটাই আমার জীবন, আমার ধর্ম।”