Priyanka Gandhi

বিবাহবার্ষিকী: প্রিয়ঙ্কার টুইটে হইচই 

রাজনৈতিক প্রচার, বৈঠক নিয়ে সদাব্যস্ত রাজীব তনয়াকে সাম্প্রতিক অতীতে এতটা আবেগদৃপ্ত ব্যক্তিগত টুইট করতে দেখা যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:০৯
Share:

স্মৃতিচারণ: বিবাহবার্ষিকীতে প্রিয়ঙ্কার টুইট।

পুলওয়ামার ঘটনার জেরে গত বছর বিবাহবার্ষিকীতে নিরুচ্চার ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। উত্তরপ্রদেশের নেতাদের ডেকে ম্যারাথন বৈঠকে দিন কাটিয়েছিলেন। স্বামী রবার্টও জেরবার ছিলেন ইডি-র তলবে।

Advertisement

কিন্তু আজ রবার্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার তেইশ বছর পূর্তির সকালে টুইট করে নিজের আবেগকে জনতার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন প্রিয়ঙ্কা। নিজেদের, ছেলেমেয়ে এবং পোষ্যদের ছবির কোলাজ সাজিয়ে করা টুইটে লিখলেন, ‘‘লাখো সুন্দর মুহূর্ত, ভালবাসা, হাসিকান্না, ভয়, বন্ধুত্ব, পরিবার, ঈশ্বরের দুই উপহার, পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ানো চার অতুলনীয় কুকুর এবং যৌথ জীবন থেকে কুড়িয়ে নেওয়া অপরিবর্তনীয় নাছোড় প্রজ্ঞা। ৬ + ২৩ বছর। আজ ২৯ হল। চলবে আজীবন।’’

রাজনৈতিক প্রচার, বৈঠক নিয়ে সদাব্যস্ত রাজীব তনয়াকে সাম্প্রতিক অতীতে এতটা আবেগদৃপ্ত ব্যক্তিগত টুইট করতে দেখা যায়নি। এই টুইটের পর আলোড়ন তৈরি হয় নেটিজেন মহলে এবং কংগ্রেস শিবিরে। বইতে থাকে শুভে‌চ্ছার বন্যা। টুইট করেন রবার্টও। লেখেন, ‘‘শুভ বিবাহবার্ষিকী পি। বহু বছর একত্রে থাকার ফলে আজ আমরা এক হয়ে গিয়েছি। ভাল সময়, কঠিন সময় মিলেমিশে আমাদের জীবনকে করে তুলেছে আরও রোমাঞ্চকর। আরও অনেক বছর তোমার পাশে থাকতে চাই। সামনে যা কিছুই আসুক না কেন।’’

Advertisement

নয়াদিল্লির রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিবাহবার্ষিকীর মতো ব্যক্তিগত তারিখকে আমজনতার সামনে নিয়ে এসে একই সঙ্গে একাধিক বার্তা দিতে চাইলেন প্রিয়ঙ্কা। আগে একেবারেই টুইটারে সক্রিয় ছিলেন না তিনি। ক্রমশ রাজনৈতিক কার্যকলাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়তাও বাড়িয়েছেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর টুইট রাজনৈতিক আলোনায় চলে আসছে। একজন পোড় খাওয়া জননেত্রীর মতন ব্যক্তিগত ঘটনাও তাই তিনি ভাগ করে নিতে চেয়েছেন দেশজোড়া সমর্থক ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। পাশাপাশি এও বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, যতই রাজনীতির চাপ ও ব্যস্ততা থাকুক, একজন আম ভারতীয় নারীর মতোই স্বামী, পরিবার ও পোষ্যরা তাঁর যাপনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।

প্রিয়ঙ্কাকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে আনার জন্য মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের মতো কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলি থেকে দাবি উঠছে। এই নিয়ে তিন বার সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে এ নিয়ে আর্জি জানিয়ে এসেছেন কংগ্রেসের নেতারা। সনিয়া এখনও বিশেষ উৎসাহ দেখাননি। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, আজ গোটা দিন প্রিয়ঙ্কা-চর্চার (হলই বা তা প্রেম-পরিণয় সংক্রান্ত) পর নতুন উৎসাহ পাবেন কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা-অনুরাগী নেতা-কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement