কেন্দ্রকে আক্রমণ প্রিয়ঙ্কার

কেরলে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাডে আজ রাহুল গাঁধী ত্রাণ শিবিরে গিয়ে কথা বললেন বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘আদর্শগত লড়াই জারি থাকবে। কিন্তু ওয়েনাডের উন্নয়নের বিষয়েও নজর রয়েছে। দুর্গতদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করা হবে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রায়বরেলী ও ওয়েনাড শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:২২
Share:

রায়বরেলীতে আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।

দেশের দুই প্রান্তে ভাইবোন।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতে গিয়ে আজ রেল কোচ কারখানার আন্দোলনরত কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। বললেন, ‘‘কেন্দ্র নির্দয় ভাবে চাইছে কোচ কারখানাকে কর্পোরেট ধাঁচে চালাতে। তার পরে কারখানাটির বেসরকারিকরণ করতে।’’

কেরলে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাডে আজ রাহুল গাঁধী ত্রাণ শিবিরে গিয়ে কথা বললেন বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘আদর্শগত লড়াই জারি থাকবে। কিন্তু ওয়েনাডের উন্নয়নের বিষয়েও নজর রয়েছে। দুর্গতদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করা হবে।’’

Advertisement

রায়বরেলীর কোচ কারখানাকে কর্পোরেট ধাঁচে চালানো হবে বলে রেল মন্ত্রকের ঘোষণার পর থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন কর্মীরা। আজ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা। তাঁর অভিযোগ, সরকার এখন কর্পোরেট ধাঁচে কারখানা চালাতে চাইছে। পরে সংস্থার বেসরকারিকরণ হবে। সরকারের বন্ধু শিল্পপতির হাতে তুলে দেওয়া হবে কারখানাটিকে। কেন্দ্র দেশের সম্পদ বিক্রি করছে অভিযোগ করে সনিয়া-কন্যা বলেন, ‘‘বিজেপি নতুন ‘কোম্পানি রাজ’ আমদানি করেছে। কারখানা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করতে চাইছে। দেশের টাকা তারা তুলে দিতে চায় বাছাই করা কিছু শিল্পপতির হাতে।’’ কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের ভয় ৩১ অগস্ট থেকে কর্পোরেট ধাঁচে কারখানা চালানো হবে। পরে হবে বেসরকারিকরণ। ফলে আপনারা কাজ হারাবেন।’’ পরে তাঁর টুইট-আশ্বাস, কর্মীদের আন্দোলনের পাশে থাকবে কংগ্রেস।

মোদীর আমলে দেশের অর্থনীতি ‘দুর্বল’ হয়েছে বলে অভিযোগ করে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘মিল অ্যাসোসিয়েশন, চা বাগান অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞাপন দেখেছি। তারা সাহায্য চাইছে। যার মানে, অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে। লোক কাজ হারাচ্ছেন।’’ রায়বরেলীতে রেল কোচ কারখানা তৈরিতে সনিয়ার ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রিয়ঙ্কা কেন্দ্রের তুলোধোনা করলেও আজ রাহুল ছিলেন ওয়েনাড়ের বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে। চুনগাম ও বালাডে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন, ত্রাণ তুলে দেন তিনি। শিবিরে থাকা লোকজন তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, বাড়ি ভেঙেছে, চাষের জমি ভেসে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের থেকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণও পাননি। রাহুলের আশ্বাস, যাবতীয় বিষয় তিনি কেরল সরকারকে জানাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement