প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার ‘অমানবিকতা’র সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগে কংগ্রেস কর্মী ও প্রতিবাদী সাদফ জাফরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে লখনউয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে সাদফ, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এস আর দারাপুরী-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। প্রিয়ঙ্কার দাবি, শনিবার ওই দু’জনের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করার সময়ে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। অর্চনা সিংহ নামে এক মহিলা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে গলা টিপে ধরার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। পরে এক দলীয় কর্মীর স্কুটারে দারাপুরীর বাড়ি যান প্রিয়ঙ্কা।
আজ টুইটারে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘সাদফের সন্তানেরা তাদের মায়ের মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছে। এই অবিবেচক সরকার মা ও সন্তানকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।’’
হেলমেট নেই, তাই জরিমানা ৬১০০ টাকা
এরই মধ্যে আজ যে কংগ্রেস কর্মী স্কুটারে প্রিয়ঙ্কাকে দারাপুরীর বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে ৬১০০ টাকা জরিমানা করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময়ে ওই কংগ্রেস কর্মী ও প্রিয়ঙ্কা হেলমেট পরেননি। পাশাপাশি প্রিয়ঙ্কার গলা টিপে ধরার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ অফিসার অর্চনা সিংহ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রিয়ঙ্কার কনভয়ের একটি অংশ অন্য দিকে চলতে শুরু করেছিল। আমি জানতে গিয়েছিলাম, তিনি কোথায় যেতে চান। কারণ, উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়া তাঁর কোথাও যাওয়া উচিত নয়।’’ অর্চনার দাবি, ‘‘আমাকে কেউই কিছু জানাননি। প্রিয়ঙ্কা গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন। কংগ্রেস কর্মীরা আমাকেই হেনস্থা করেন। ফলে আমি পড়ে যাই।’’ ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, পরে প্রিয়ঙ্কা হেলমেট ছাড়াই স্কুটারে দারাপুরীর বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে হেলমেট ছাড়া যেতে নিষেধ করা হলে হেঁটে যান।
আজ এই ঘটনায় প্রিয়ঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যে ভাবে প্রিয়ঙ্কাকে হেনস্থা করা হয়েছে তাতে আমি উদ্বিগ্ন। প্রিয়ঙ্কা, তোমাকে নিয়ে আমি গর্বিত। বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তুমি ঠিক কাজ করেছ।’’