Priyanka Gandhi

সরকারি বাংলো ছাড়ার আগে বিজেপি নেতাকে চায়ের আমন্ত্রণ প্রিয়ঙ্কার

প্রিয়ঙ্কার ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছে, বিজেপি নেতাকে আমন্ত্রণ করা একটা সৌজন্যমূলক বিষয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ১৪:১২
Share:

প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।

সরকারি বাংলো ছেড়ে যাওয়ার আগে নতুন অতিথি বিজেপি নেতা অনিল বালুনি ও তাঁর স্ত্রীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানালেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ৩৫ লোদী এস্টেট-এর এই বাংলোটি বরাদ্দ করা হয়েছে বালুনিকে। সূত্রের খবর, বালুনির অফিসে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।এমনকি ফোনও করা হয়েছে। কিন্তু বালুনির তরফে এখন কোনও উত্তর আসেনি। বালুনি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।

Advertisement

প্রিয়ঙ্কার ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছে, বিজেপি নেতাকে আমন্ত্রণ করা একটা সৌজন্যমূলক বিষয়। এবং ইঙ্গিতবহও বটে। এর মধ্য দিয়েই তিনি বোঝাতে চাইলেন, তাঁকে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলোটি ছেড়ে দেবেন। ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, বাংলো ছেড়ে দেওয়ার পর কংগ্রেস নেত্রী গুরুগ্রামে তাঁর নিজের বাড়িতে থাকবেন। পরে দিল্লিতেও ফিরে আসতে পারেন।

এসপিজি নিরাপত্তা থাকায় ১৯৯৭ সালে রাজধানীর অন্যতম নিরাপদ জায়গা বলে পরিচিত লোদী রোডের ওই সরকারি বাংলোটি পান প্রিয়ঙ্কা। গত ৩০ জুন আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে তাঁকে ওই বাংলো খালি করতে বলা হয়। জানানো হয়, লোদী এস্টেটের ৩৫ নম্বর বাংলোটি এসপিজি নিরাপত্তাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ। এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে যেহেতু জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, তাই ওই বাংলো ছাড়তে হবে তাঁকে। ওই নোটিসে আরও জানানো হয়, যাঁরা জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান তাঁরা সরকারি আবাসনের দাবিদার নন। নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যদি সুপারিশ করে, সে ক্ষেত্রে সংসদীয় আবাসন কমিটিই একমাত্র বিশেষ ছাড় দিতে পারে। প্রিয়ঙ্কার ক্ষেত্রে সেই ধরনের কোনও পদক্ষেপ যেহেতু করা হয়নি, তাই বাংলো ছাড়তে হবে তাঁকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজস্থানের সঙ্কট চরমে, আরও ব্যাখ্যা চেয়ে গহলৌতের প্রস্তাব ফেরালেন রাজ্যপাল

সনিয়া, রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে দেওয়া এসপিজি ক্যাটিগরির নিরাপত্তা গত বছরের নভেম্বরে তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বদলে তাঁদের জন্য জেড প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে সরকারের তরফে বলা হয়, রাজনীতিকদের উপর হামলার আশঙ্কার প্রেক্ষিতেই তাঁদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, গাঁধী পরিবারের উপর হামলার আশঙ্কা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার পরেই এমন সিদ্ধান্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement