প্রিয়ঙ্কাকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ ছবি: পিটিআই
রবিবার রাতে লখিমপুর যাওয়ার পথে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সীতাপুর থানায়। কোনও নির্দেশ বা এফআইআর ছাড়া গত ২৮ ঘণ্টা ধরে তাঁকে সেখানেই আটক করা রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। অথচ লখিমপুরে চার কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র এখনও বাইরে ঘুরছেন বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি।
টুইটারে একটি ভিডিয়ো বার্তায় মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘মোদীজি, কোনও রকম নির্দেশ ছাড়াই আপনার সরকার আমাকে ২৮ ঘণ্টা ধরে আটক করে রেখেছে। অথচ যে অন্নদাতাদের পিষে দিল সে এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনার সরকার তাকে ধরছে না। কেন?’’ যত দিন না কৃষকরা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন তত দিন তাঁদের আন্দোলন চলবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। নিজের টুইট বার্তার সঙ্গে আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কী ভাবে বিক্ষোভরত কৃষকদের পিষে চলে যাচ্ছে গাড়ি।
সংঘর্ষের ঘটনায় আট জনের মৃত্যুর পরে রবিবার রাতেই লখিমপুর খেরির উদ্দেশে রওনা দেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু পথে সীতাপুরে তাঁর কনভয় আটকে তাঁকে যোগীরাজ্যের পুলিশ আটক করে। প্রিয়ঙ্কাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে কংগ্রেস। তাঁর হাতে হাতকড়া পরানো হয়। প্রিয়ঙ্কার কনভয় আটকানোর পরে পুলিশের সঙ্গে তিনি বিতণ্ডায় জড়ান। সংবাদমাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ প্রিয়ঙ্কাকে লখিমপুর যেতে নিষেধ করছে। অন্য দিকে, প্রিয়ঙ্কার দাবি, তাঁকে আটকানোর অধিকার নেই পুলিশের। তিনি পুলিশের কাছে জানতে চান তাঁদের কাছে ওয়ারেন্ট রয়েছে কি না।
ভিডিয়োতে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে থাকা কংগ্রেস নেতা দীপেন্দ্র হুডাকে বলতে শোনা যায়, পুলিশ কেন কংগ্রেস নেত্রীকে ধাক্কা দিচ্ছে। তিনি এই ঘটনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেন। প্রতিবাদ করায় দীপেন্দ্রকে পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ করতে শোনা যায় প্রিয়ঙ্কাকে।
এই ঘটনার পরে প্রিয়ঙ্কার সমর্থনে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। তিনি বলেন, ‘প্রিয়ঙ্কা, আমি জানি তুমি পিছিয়ে যাবে না। ওরা তোমার সাহস দেখে ভয় পেয়েছে। আমরা নিশ্চিত করব যাতে কৃষকরা ন্যায় বিচার পান।’