ফাইল চিত্র।
দেশবাসী তাঁর কাছে আগে নয়, রাজনীতিটাই আগে। সত্যিটা তাঁর কাছে উদ্বেগের নয়, বরং প্রচার না পেলে সেটাই তাঁর কাছে উদ্বেগের মনে হয়। শনিবার এ ভাবেই চাঁছাছোলা ভাষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “নিজের দায়িত্ব এড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আর শুধু অপেক্ষা করেছেন কখন এই দুঃসময় কাটবে। দেশকে চরম পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছেন তিনি।” এর পরই প্রিয়ঙ্কার মন্তব্য, ‘এক জন কাপুরষের মতো আচরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
দেশের কোভিড পরিস্থিতি, টিকাকরণ নিয়ে বার বার সরব হয়েছে কংগ্রেস। রাহুল গাঁধী থেকে শুরু করে কংগ্রেসের বহু নেতানেত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির জন্য মোদীকে দায়ী করেছেন। এ বার প্রিয়ঙ্কা আরও এক ধাপ এগিয়ে মোদীকে কাপুরুষ বলে আক্রমণ করলেন।
প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, মোদীর সরকার সত্যটাকে স্বীকার করতে ভয় পাচ্ছে। অতিমারির গোড়া থেকেই সত্যটাকে লুকনোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে তারা। যার ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে দেশবাসীকে। ঠিক মতো পদক্ষেপ না করার জন্যই খেসারত দিতে হচ্ছে গোটা দেশকে।
তাঁর আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী যদি বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা শুনতেন, সংসদের স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির পরামর্শ শুনতেন তা হলে হয়ত এ রকম ভয়ানক দিন দেখতে হতো না। দেশবাসীকে যদি নিজের ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা এবং প্রচারের ঊর্ধ্বে রাখতে তা হলে টিকার আকাল হত না। নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের স্বার্থে গোটা বিশ্বে বিনামূল্যে টিকা না বিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি দেশবাসীর জন্য সেই টিকা ব্যবহার করতেন তা অনেক বেশি কার্যকরী হত।