আলিঙ্গন: শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। রবিবার দিল্লিতে। পিটিআই
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক প্রগাঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ হলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। আজ হাসিনার সফরের শেষ দিনে সনিয়া গাঁধী, মনমোহন সিংহ, প্রিয়ঙ্কারা এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে প্রিয়ঙ্কাকে জড়িয়ে ধরেন হাসিনা। পরে প্রিয়ঙ্কা টুইট করেন, “হাসিনাজির কাছ থেকে এই আলিঙ্গন অনেক দিনের পাওনা ছিল। কবে আবার ওঁর সঙ্গে দেখা হবে, সে জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম। গভীর ব্যক্তিগত শোক এবং কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার শক্তি এবং নিজের বিশ্বাসের জন্য তাঁর সাহসী লড়াই আমার কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজনীতিতে আলিঙ্গন নতুন কিছু নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মঞ্চে আলিঙ্গন এখন এক বহু আলোচিত বিষয়। কিন্তু আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই আলিঙ্গনে পারিবারিক ঘনিষ্ঠতা এবং উষ্ণতা ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এখানে দীর্ঘদিনের পারিবারিক মৈত্রীর ছবিটাই রাজধানীতে স্পষ্ট হয়ে উঠল। প্রিয়ঙ্কার ঠাকুরমা ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে হাসিনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক মৈত্রীর পরম্পরাই আজকের এই ছবিতে খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই।
কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে আজ বৈঠকে হাসিনা ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলেছেন। সূত্রের খবর, আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন চলতি রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও। বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের নেতা এবং দলের বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আনন্দ শর্মা। পরে তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে এই সাক্ষাতের প্রসঙ্গে বিশদে জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের
ভূমিকার কথা স্মরণ করে প্রয়াত ইন্দিরা গাঁধীর প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ বন্ধুত্বের কথাও উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা।
মনমোহন সিংহ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য প্রশংসা করেছেন বলে জানানো হচ্ছে কংগ্রেসের ওই বিবৃতিতে। অন্যান্য সামাজিক সূচকগুলির পাশাপাশি বিশেষ করে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের উল্লেখ করেছেন মনমোহন। আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উৎসবে উপস্থিত থাকার জন্য সনিয়া, রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হাসিনা।