পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কম্পিউটার শিক্ষককে। প্রতীকী ছবি।
ছাত্রীদের হেনস্থায় শিক্ষককে সহযোগিতা করতেন খোদ স্কুলেরই অধ্যক্ষ! তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। শুধু তাই-ই নয়, স্কুলের শৌচাগার থেকে একাধিক জন্মনিরোধক সামগ্রীও উদ্ধার করেছেন অভিভাবকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই নাবালিকা ছাত্রীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠছিল উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের একটি সরকারি স্কুলে। এক ছাত্রী তার অভিভাবককে জানিয়েছিল যে, স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক তাদের শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করেন। প্রায় দিনই এই ঘটনা ঘটে বলে বাবা-মায়ের কাছে জানিয়েছিল সে। সেই কথা চাউর হয়ে যায় বাকি ছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্যেও। তার পর তাঁরা হঠাৎ এক দিন স্কুলে হানা দেন। হাতেনাতে ধরে ফেলেন কম্পিউটার শিক্ষক মহম্মদ আলিকে।
অভিভাবকদের দাবি, স্কুলের শৌচাগার থেকে একাধিক জন্মনিরোধক সামগ্রীও উদ্ধার করেছেন তাঁরা। এর পরই পঞ্চায়েত প্রধান লতাপ্রসাদ কম্পিউটার শিক্ষক, স্কুলের অধ্যক্ষ এবং সাজিয়া নামে আরও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিলহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এক জন বা দু’জন নয়, একসঙ্গে ১৮ জন ছাত্রীর হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, স্কুলের অধ্যক্ষের সামনেই ছাত্রীদের হেনস্থা করতেন ওই শিক্ষক।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জেলা শিক্ষা দফতরে শোরগোল পড়ে যায়। খবর পৌঁছয় রাজ্য শিক্ষা দফতরেও। তার পরই তড়িঘড়ি ওই শিক্ষক এবং অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক কুমার গৌরব বলেন, “বিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। খুব শীঘ্রই রিপোর্ট আসবে। এই মুহূর্তে অধ্যক্ষ এবং শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” রাজ্যের মন্ত্রী বলদেব সিংহ অওলাখ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যে ছাত্রীদের হেনস্থা করা হয়েছে, তারা সকলে দলিত সম্প্রদায়ের! এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “আমরা সব জাতি, সম্প্রদায়কে সম্মান করি। কে দলিত, কে দলিত নয়, এখন এটা দেখার সময় না। আসল বিষয় ছাত্রীদের হেনস্থা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”