অযোধ্যায় উজ্জ্বলা-গ্রাহকের বাড়িতে চা খাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
রামমন্দির উদ্বোধনের আগে অযোধ্যায় গিয়ে শনিবার বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশন উদ্বোধন করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিল একাধিক কর্মসূচি। এর ফাঁকেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত এক গ্রাহকের বাড়িতে ঢুকে কয়েক মিনিট আড্ডাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আচমকা তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেখে আকাশ থেকে পড়েন ওই পরিবারের সদস্যেরা। বাড়িতে তাঁদের বানানো চা-ও খান মোদী।
অযোধ্যায় উজ্জ্বলা প্রকল্পের গ্রাহক মীরার বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর চার মিনিটের আড্ডার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ওই বাড়িতে বানানো চা তৃপ্তি করেই খেয়েছেন মোদী। তবে সামান্য খুঁতও ধরেছেন।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বাড়িতে ঢুকে একটি চেয়ারের উপর বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবারের সদস্যেরা সকলে তাঁর কাছেই বসে আছেন। একটি শিশুর গাল টিপে আদর করে দেন তিনি। তার পর কথা বলতে শুরু করেন গৃহিনীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা উজ্জ্বলা প্রকল্পে দেশের ১০ কোটি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়েছি। আপনি তাঁদের মধ্যে এক জন। তাই এই বাড়িতে এলাম।’’ রান্নাঘরের দিকে উঁকি মেরে এর পরেই মোদীর কৌতূহলী প্রশ্ন, ‘‘আজ কী রান্না করছেন?’’
গৃহিনী সলজ্জ হেসে জানান, ভাত, ডাল এবং সব্জি রান্না হয়েছে তাঁদের বাড়িতে। অতিথির জন্য চা-ও বানিয়েছেন। শুনেই প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘‘চা বানিয়েছেন? নিয়ে আসুন।’’
চায়ের কাপ হাতে তুলে নিয়ে এর পর আলতো চুমুক দেন মোদী। হাসিমুখেই বলেন, ‘‘খুব মিষ্টি চা খান তো আপনারা!’’
অর্থাৎ, মোদী যে চা খেয়ে অভ্যস্ত, তার চেয়ে খানিকটা বেশি মিষ্টি হয়েছিল চায়ে। এ কথা শুনে আরও লজ্জা পান পরিবারের সদস্যেরা। গৃহিনী জানান, কোনও ভাবে বেশি মিষ্টি পড়ে গিয়েছে চায়ে।
চায়ের প্রসঙ্গে আর কথা এগোয়নি। কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে এর পর কথা বলতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প থেকে ওই পরিবার কী কী সুবিধা পেয়েছে, তাঁরা আগে কোথায় থাকতেন ইত্যাদি নানা প্রশ্ন করেন। গৃহিনী জানান, আগে তাঁরা বস্তিতে থাকতেন। আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন। গত তিন বছর ধরে বিদ্যুৎও পান। মাসে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বিল আসে। শুক্রবারই তাঁদের বাড়িতে গ্যাসের ব্যবস্থাও হয়েছে। সরকারের প্রকল্পের জন্য জীবন আগের চেয়ে সহজ হয়ে উঠেছে বলে জানান তাঁরা।