National News

যে বোতামই টিপুন, ভোট যাচ্ছে পদ্মফুলে! মেরঠের পুরভোট ঘিরে তুলকালাম

ভোটার বোতাম টিপলেন হাতি চিহ্নের পাশে। ভোট পড়ল পদ্মফুলে। তুলকালাম পুরভোটে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:৪৫
Share:

মেরঠের ওই বুথে ভোটযন্ত্রটিতে গোলমাল থাকায় বিএসপি-র ভোট বিজেপি-তে পড়েছে। সব ভোটযন্ত্রে এমন হচ্ছে না। বলছেন প্রশাসনিক কর্তারা। —প্রতীকী ছবি।

সকাল থেকে উৎসবের মেজাজেই চলছিল পুরভোট। মাস আটেক আগেই বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। স্বাভাবিক ভাবেই পুরভোটেও আত্মবিশ্বাস নিয়েই নেমেছিল গেরুয়া শিবির। তাল কেটে গেল মেরঠের একটি ওয়ার্ডে। ভোটার বোতাম টিপলেন ‘হাতি’ চিহ্নের পাশে। ভোট পড়ল ‘পদ্মফুলে’।

Advertisement

যাকেই ভোট দিন, ভোট যাচ্ছে বিজেপির খাতায়— এই অভিযোগ অনেক দিন ধরেই তুলছে বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিএসপি নেত্রী মায়াবতীই সর্বাগ্রে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই অভিযোগ তুলেছিলেন। বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে (ইভিএম) কারচুপি করে জিতেছে বিজেপি, ইঙ্গিতে এমনই দাবি করেছিলেন তিনি। মেরঠেও বৃহস্পতিবার মায়াবতীর দলেরই এক সমর্থক অভিযোগটি তুললেন। তবে এ বার খালি হাতে নয়, নিজের ভোটদানের ভিডিও রেকর্ডিং করে ওই ভোটদাতা দেখালেন যে, তিনি বিএসপি-কে ভোট দিলেন, ভোট পড়ল বিজেপি-তে।

আরও পড়ুন: বিশ্ব বাংলার লোগো, মমতার ছবিতে কালি: গ্রেফতার বিজেপির ৯

Advertisement

তসলিম আহমেদ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগটি তুলেছেন। তিনি নিজের ভোটদানের ভিডিও রেকর্ডিং করেন এবং সেই ভিডিও তুলে ধরে দেখান যে বোতাম টেপা হচ্ছে হাতি চিহ্নের পাশে, ভোট পড়ছে পদ্ম চিহ্নে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ছেড়ে দেন তসলিম আহমেদ। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, তসলিম আহমেদ ভোট দিচ্ছেন বিএসপি প্রার্থীকে। কিন্তু ভোট পাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী।

আরও পড়ুন: গুজরাতে ভোট মিটলেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী

তসলিমের ভিডিও ভাইরাল হতেই ঝড় উঠে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক শিবিরে। ইভিএমে কারচুপি করে বিজেপি উত্তরপ্রদেশের পুরভোটে জেতার চেষ্টা করছে বলে বিরোধী দলগুলি হইচই শুরু করেছে।

নির্বাচন কমিশন অবশ্য ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। মেরঠে যে ইভিএম-টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেই ইভিএম-টিতে কোনও গোলমাল রয়েছে বলে কমিশনের দাবি। মেরঠের অতিরিক্ত জেলাশাসক মুকেশ কুমার বলেছেন, ‘‘যে মেশিনে গোলমাল হচ্ছিল, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সেটা আমরা বদলে দিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement