প্রকৃতি-সাজে: রাঁচীতে প্রস্তাবিত রবীন্দ্রভবনের নকশা। —নিজস্ব চিত্র
প্রকৃতির সঙ্গে মিশবে আধুনিক স্থাপত্যশৈলী। এমনই নকশায় তৈরি হবে রাঁচীর রবীন্দ্রভবন।
‘ঝাড়খণ্ড আর্বান ইনফ্রাস্ট্রকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’-এর নির্দেশক ডি কে সিংহ জানিয়েছেন, পূর্ব ভারতে রবীন্দ্র-চর্চার অন্যতম প্রধান পীঠস্থান হবে রাঁচীর রবীন্দ্রভবন। রাজধানীর টাউন হল চত্বরে গড়ে উঠবে ওই ভবন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ২ মে রবীন্দ্রভবনের শিলান্যাস করবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজরিত টেগোর হিলের সৌন্দর্যায়নের কাজও করছে সরকার।’’
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রবীন্দ্রভবনের চারপাশ ঘেরা থাকবে সবুজ মাঠে। সেখানে তৈরি হবে ধাতব গাছের অবয়ব, সবুজ উদ্ভিদের সারি। নগর উন্নয়ন নিগমের ওই কর্তা বলেন, ‘‘টাউন হলের মাঠে কয়েকটি বড় গাছ ছিল। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতিপ্রেমী। তাঁর নামাঙ্কিত ভবন তৈরির জন্য গাছ কাটতে আপত্তি ছিল আমাদের। তাই গাছগুলি শিকড়-সহ তুলে মাঠের অন্য অংশে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, রবীন্দ্রভবনের মূল প্রেক্ষাগৃহে দেড় হাজার দর্শক একসঙ্গে বসতে পারবেন। থাকবে চারটি সম্মেলন-কক্ষ। শিল্পীদের জন্য তৈরি হবে অতিথিশালা। থাকবে মিউজিক রুম, জিমনাসিয়াম। খরচ পড়বে দেড়শো কোটি টাকা।
রাঁচীতে রবীন্দ্রভবন তৈরির দাবি অনেক দিনের। রবীন্দ্রপ্রেমী তথা রাজধানীর অন্যতম সাংস্কৃতিক কর্মী সুবীর লাহিড়ী বলেন, ‘‘পঁচিশে বৈশাখ বা ২২ শ্রাবণ নয়, সারা বছর ধরে রবীন্দ্রনাথকে প্রবাসী বাঙালিরা নানা ভাবে স্মরণ করেন। পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের অনেক শিল্পী রাঁচীতে অনুষ্ঠান করেছেন।’’