রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
শিশুধর্ষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আনা অধ্যাদেশে সিলমোহর দিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রবিবার সেই অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।
কাঠুয়া, উন্নাও এবং সুরাত কাণ্ডের পর দেশ জুড়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদী সরকারকে। শিশু নির্যাতন, শিশুদের যৌন হেনস্থা যাতে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ কার যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দেয় সরকার। এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছবে তারা সুপ্রিম কোর্টকে সে কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। অবশষে শনিবার শিশু ধর্ষণের সাজা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শনিবার একটি অধ্যাদেশ এনে মৃত্যুদণ্ডের পক্ষেই সায় দিয়ে দেওয়া হয়। অধ্যাদেশটি স্বাক্ষরের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। এ দিন সেই অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করার পর শিশুধর্ষণের চূড়ান্ত শাস্তি হিসাবে কার্যকর হয়ে গেল মৃত্যুদণ্ড।
নতুন এই অধ্যাদেশে ধর্ষণ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে রাজ্যগুলির সহযোগিতা নিয়ে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সময় বেঁধে দিয়ে বলা হয়েছে, ধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে দু’মাসে, শুনানি শেষ করতে হবে দু’মাসে। আপিল মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে ছ’মাসের মধ্যে।
আরও পড়ুন: ১২ বছরের কমবয়সি মেয়েকে ধর্ষণে ফাঁসির সাজা, সায় কেন্দ্রের
আরও পড়ুন: আট মাসের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে ভাবে একের পর এক শিশু নির্যাতন ও শিশুদের যৌন হেনস্থার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে, তাতে অনেক দিন ধরেই ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্যপ্রমাণ আইন এবং শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন ২০১২ (পকসো)-এ পরিবর্তন আনার জন্য নানা মহল থেকে দাবি উঠছিল। কাঠুয়া, উন্নাও এবং সুরাতে শিশু ধর্ষণের ঘটনার পর সেই দাবি আরও জোরাল হয়।