গ্রাম, গরিব, কৃষক, যুবক, মহিলা, সংখ্যালঘু, দলিত, শোষিত, বঞ্চিত, রোজগার- সবকিছুতে যেন সেরা। ভোটটা এলেই হয়। আর যেমন তেমন ভোট নয়, এমন মহলে লোকসভা-বিধানসভা ভোটও হয়ে যাক একসঙ্গে।
সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন। এক দিকে রাষ্ট্রপতি, অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী-দিনভর এই সুরেই গান বাঁধলেন। বাজেট অধিবেশন শুরুই হয় যৌথ সভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা দিয়ে। কিন্তু সে বক্তৃতা অনুমোদন করে মন্ত্রিসভাই। রাষ্ট্রপতিকে পড়ে যেতে হয় সরকারের বক্তব্যই। তবু রামনাথ কোবিন্দের পূর্বসূরী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো কেউ থাকলে হয়ত দেশের অসহিষ্ণুতা, হিংসা নিয়েও দুই একটি অনুচ্ছেদ থাকত। কিন্তু কোবিন্দের বক্তৃতায় শুধুই সরকারের ঢাক পেটানো, বারো বার প্রধানমন্ত্রীর নাম, আর দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটল বিহারী বাজপেয়ীতে ছয়লাপ।
সব মিলিয়ে একটি ভোট-ভোট মহল তৈরির চেষ্টা হল। রাষ্ট্রপতি তো বললেনই। দুপুরে এনডিএর বৈঠকে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও খোলাখুলি নির্দেশ দিলেন, একসঙ্গে ভোট নিয়ে আবহ তৈরি করুন। দলের এক নেতার কথায়, সংসদের চলতি অধিবেশনেও একটি প্রস্তাব আনতে চান প্রধানমন্ত্রী। যাতে বিরোধীদের উপর আরও চাপ বাড়ে।
আরও পড়ুন: আলোচনায় জোর মোদীর, নেই মন্ত্রীরাই
মোদীর জন্য স্বস্তির বিষয়, এনডিএর বৈঠকে শিবসেনা ছিল। কিন্তু বিরোধীরা বুঝতে পারছে, ভোটের দামামা বাজিয়ে আসলে সমস্যাগুলি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। সকালে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেই ফেলেন, ‘‘আসলে সব তাড়াতাড়ি মিটিয়ে এ বছরেই লোকসভা ভোটে চলে যেতে চাইছে সরকার।’’