প্রতীকী ছবি।
নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস ও ভূমিপূজা হলেও কোনও ভাঙাচোরা বা নির্মাণের কাজ এখনই শুরু করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কারণ এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলা ঝুলছে কোর্টে। তবে ‘সেন্ট্রাল ভিস্টা’
প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাটির এক কর্তা জানিয়েছেন, নির্মাণকাজ শুরু হলেই প্রথমে ভাঙা হবে লাটিয়েন্স দিল্লির শ্রম শক্তি ভবন ও পরিবহণ ভবন। সেখানে তৈরি হবে সাংসদদের দফতর।
এই প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান তৈরির দায়িত্বে রয়েছে এইচসিপি ডিজ়াইন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা। তাদেরই এক কর্তা জানিয়েছেন, রফি মার্গের শ্রম শক্তি ভবন এবং সংসদ মার্গের পরিবহণ ভবন— এই দু’টি বাড়ি ভাঙা হবে প্রথমে। সেখানে যে বাড়িটি তৈরি হবে, সেখানে থাকবে সাংসদদের দফতরগুলি। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী, সংসদ চত্বরের সঙ্গে এই অফিসবাড়িটি যুক্ত থাকবে ভূগর্ভস্থ পথের মাধ্যমে। নতুন সংসদ ভবনের লোকসভায় ৮৮৮ জন এবং রাজ্যসভায় ৩৮৪ জনের বসার বন্দোবস্ত থাকবে বলে প্রকল্পের নীল-নকশায় আগেই জানানো হয়েছিল। এইচসিপি-র ওই কর্তা বলেন, ‘‘নতুন সংসদে ছ’টি কমিটি রুম থাকবে।’’
পুরনো বাড়ি ভাঙা শুরু হলেও সরকারের কাজকর্ম মসৃণ ভাবে চালাতে যাতে কোনও অসুবিধে না-হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসগুলিকে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্য দিল্লির গোলে মার্কেট, কে জি মার্গের পাশাপাশি আফ্রিকা অ্যাভিনিউ এবং তালকাটোরা স্টেডিয়ামের কাছাকাছি চারটি এলাকাকে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। বাড়ি ভাঙার কাজ হবে ধাপে ধাপে।
শ্রম শক্তি ভবন ও পরিবহণ ভবনের পাশাপাশি শাস্ত্রী ভবন, উদ্যোগ ভবন, নির্মাণ ভবন, কৃষি ভবনের মতো বাড়িগুলিও ভাঙা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নয়া প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের সমস্ত অফিসগুলিকে এক ছাদের নীচে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তার জায়গা তৈরি করতেও ভাঙতে হবে পুরনো ইমারত।