প্রশান্ত কিশোর এবং বিপ্লব দেব। নিজস্ব চিত্র।
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের বেআইনি ভাবে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল ত্রিপুরায়। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ত্রিপুরা পুলিশ রবিবার রাত থেকে আগরতলার উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে আটকে রেখেছে আইপ্যাকের দলটিকে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সোমবার ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে টুইটারে লেখেন, ‘বাংলায় তৃণমূলের জয়ে বিজেপি এতটাই বিড়ম্বনায় পড়েছে যে তারা ত্রিপুরায় আইপ্যাকে ২৩ জন কর্মীকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বিজেপি-র অপশাসনে দেশে গণতন্ত্রের হাজার বার অপমৃত্য়ু ঘটছে’।
ওই সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে সমীক্ষার কাজে গিয়েছিল আইপ্যাকের ২৩ জনের একটি দল। রাজধানী আগরতলার ওই হোটেলে রয়েছেন দলের সদস্যেরা। রবিবার রাতে হঠাৎই হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। টিম-পিকের সদস্যদের জোর করে আটকে রাখা হয়। ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিস লাল সিংহ বিষয়টি জানিয়েছেন কালীঘাটের দফতরে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আশিস সোমবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় বিজেপি-র পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের দমন করতে চাইছে।’’ গত ২১ জুলাই আগরতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবস কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে। গৌরাঙ্গনগরে অনুষ্ঠানস্থল থেকে আচমকাই প্রায় ৫০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। পরে পুলিশ জানায়, করোনা বিধি ভেঙে জমায়েত করাতেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর জুলাই মাসে তৃণমূলের ‘পরামর্শদাতা’ হিসেবে নিয়োগের পর প্রশান্তের লক্ষ্য ছিল ‘মিশন ২০২১’। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে সেই ‘মিশন’ সফল হওয়ার পরেও আইপ্যাকের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। স্থানীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যে তৃণমূলের হয়ে সক্রিয়তা শুরু করেছে পিকে-র সংস্থা।