কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামী দিনে দল কোন পথে ঘুরে দাঁড়াবে তার রূপরেখা দিয়েছেন পিকে। তার মূল্যায়নে একটি কমিটিও তৈরি করেছেন সনিয়া। সেই কমিটির এক সদস্য চাইছেন, কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে সমস্ত রকম রাজনৈতিক দলের থেকে নিজেক বিচ্ছিন্ন করুন প্রশান্ত। নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে কংগ্রেসের কাজে নিয়োজিত করুন।
প্রশান্ত কিশোরের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা। ফাইল ছবি
ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা। দলে যোগ দিয়ে তিনি কী ভূমিকা নেবেন রাহুল গাঁধীর সঙ্গে আলোচনা করে তা ঠিক করেছেন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। তবে তাঁর কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামী দিনে দল কোন পথে ঘুরে দাঁড়াবে তার রূপরেখা দিয়েছেন পিকে। তার মূল্যায়নে একটি কমিটিও তৈরি করেছেন সনিয়া। সেই কমিটির এক সদস্য চাইছেন, কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে সমস্ত রকম রাজনৈতিক দলের থেকে নিজেক বিচ্ছিন্ন করুন প্রশান্ত। নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে কংগ্রেসের কাজে নিয়োজিত করুন।
প্রসঙ্গত, পিকে ও সংস্থা আইপ্যাক এর আগে তৃণমূল এবং জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গে কাজ করেছেন। বাংলা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে দুটি দলের জয় ধরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। কংগ্রেসের ওই নেতার দাবি, সে সব কাজ বন্ধ করেই পিকেকে কংগ্রেসে যোগ দিতে হবে।
ভোটকুশলীর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে এই আপত্তি শুধু ওই সদস্যের নয়, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের একাংশেরও। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন দ্বিগ্বিজয় সিংহ। তিনি একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি (পিকে) একদল থেকে অন্য দল ঘুরে বেড়িয়েছেন, এই ধরনের ব্যক্তির রাজনৈতিক এবং আদর্শগত অবস্থান সুস্পষ্ট নয়। তবে পিকে নিয়ে তাঁর কোনও ছুৎমার্গ নেই। দ্বিগ্বিজয়ের কথায়,‘‘তিনি দলের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তা বেশ ভাল উদ্যোগ।’’
পিকের পরামর্শ বিবেচনা করার জন্য যে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল সেই কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের রিপোর্ট সনিয়া গাঁধীর কাছে জমা দিয়েছে। আগামী দিনে দলের পুনরুত্থান কোন পথে তার যে রূপরেখা তৈরি করেছিলেন তা নিয়েও ওই কমিটি পর্যালোচনা করেছে।
ইতিমধ্যেই পিকের সঙ্গে সনিয়া এবং রাহুলের বার চারেক বৈঠক হয়েছে। তিনি ৬০০ পাতার একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন। প্রথম থেকে তাঁর প্রস্তাব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কংগ্রেস। প্রস্তাব বিবেচনার জন্য একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। যে কমিটিতে রয়েছেন রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং ভূপেশ বাঘেল। এ ছাড়া কমিটিতে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এবং প্রবীণ নেতা মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, কেসি বেণুগোপাল এবং অম্বিকা সোনি।