সব কিছু চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেসের কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। কিন্তু গুজরাতে কংগ্রেসের হয়ে প্রশান্ত কিশোরের কাজ করার সম্ভাবনার সূত্র ধরে তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়েও ফের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
প্রশান্ত কিশোর। ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে গত সপ্তাহে বৈঠকের পরে প্রশান্ত কিশোর গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে চলেছেন বলে দলের একাংশ মনে করছেন। কংগ্রেসের এই নেতাদের মতে, দর কষাকষি শেষ পর্যায়ে। সব চূড়ান্ত হয়ে গেলেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে।
গুজরাতে কংগ্রেসের একটা বড় অংশের নেতা প্রথম থেকেই চাইছেন, চলতি বছরের শেষে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলের রণকৌশল তৈরির জন্য পিকে-কে নিয়োগ করা হোক। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁদের বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গুজরাতের ভারপ্রাপ্ত নেতা, রাজস্থানের প্রাক্তন মন্ত্রী রঘু শর্মাও পিকে-কে নিয়োগের পক্ষে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রশান্ত নিজেও বিনা শর্তে কংগ্রেসের হয়ে গুজরাতে কাজ করতে আগ্রহী। গত সপ্তাহে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে তাঁর বৈঠকেও এই প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
সব কিছু চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেসের কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। কিন্তু গুজরাতে কংগ্রেসের হয়ে প্রশান্ত কিশোরের কাজ করার সম্ভাবনার সূত্র ধরে তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়েও ফের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। কংগ্রেসের একটা অংশ এমনও মনে করছে, এপ্রিলের শেষে দলের চিন্তন শিবিরের পরে কিশোরের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে ফের কথাবার্তা শুরু হতে পারে। গত বছরও কিশোরের সঙ্গে সনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কার এ বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছিল। কিন্তু একটা সময়ের পরে আর আলোচনা এগোয়নি। কিশোর কংগ্রেসকে চাঙ্গা করার জন্য এত ক্ষমতা চাইছিলেন যে অনেকেরই তাতে আপত্তি ছিল। গুজরাত কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, পিকে-কে রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি পটিদার নেতা নরেশ পটেলের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।