ফাইল ছবি
সোশ্যাল মিডিয়ায় করা কোনও মন্তব্য তাঁদের পছন্দ না হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিশানা করা শুরু করে দেন শরদ পওয়ার, অরবিন্দ কেজরীওয়ালেরা— তিনি ‘কুকথার’ হয়ে কথা বলছেন না জানিয়েও এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার এবং আম আদমি পার্টির (আপ) শীর্ষনেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে এ ভাবেই তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। একই টুইটে ধর্মেন্দ্রের আরও বিদ্রুপ, ‘‘তা হলে কি তাঁদের সম্মান এতটাই ঠুনকো? ’’
দিন দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পওয়ারকে ইঙ্গিত করে আপত্তিকর মন্তব্য করায় গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় কেতকী চিতালে নামে এক মরাঠি অভিনেত্রীকে। একই কারণে গ্রেফতার হন নিখিল ভামরে নামে এক ছাত্রও। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই পওয়ারের বিরুদ্ধে ‘কুকথা’ বলার অভিযোগ ওঠে মহারাষ্ট্রের বিজেপি মুখপাত্র বিনায়ক অম্বেকরের বিরুদ্ধে। সেই সূত্রে তাঁর উপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে এনসিপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ধর্মেন্দ্রের এই টুইটকে বেশ তাৎপর্য দিয়েই দেখছে রাজনৈতিক মহল।
অরবিন্দ কেজরীওয়ালকেও নিশানা করতে ছাড়েননি ধর্মেন্দ্র। সম্প্রতি কেজরীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে দিল্লির বিজেপির নেতা তাজিন্দর পাল বগ্গাকে গ্রেফতারের জন্য প্রায় তিনটি রাজ্যের পুলিশকে কাজে লাগাতে দেখা যায় আপ-শাসিত পঞ্জাবের পুলিশকে। সেই দিকে ইঙ্গিত করে ধর্মেন্দ্রের মন্তব্য, ‘‘যাঁরা এত দিন বাক্ স্বাধীনতার হয়ে সওয়াল করে এসেছেন তাঁরাই এখন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছেন।’’ এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ও কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ধর্মেন্দ্র। দলগুলির নাম করেই তিনি বলেন, ‘‘বিরোধী দলগুলির বিভিন্ন ‘রাজনৈতিক অভিনেতারা’ সাধারণ সমালোচনা এবং সামান্য সমাজমাধ্যমের পোস্টের বিরুদ্ধেও বাড়াবাড়ি পদক্ষেপ রকমের করাকে স্বাভাবিক করে তুলেছেন।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিংবা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো বিজেপির একাধিক শীর্ষ স্তরের নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে আপত্তিজনক মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার হওয়ার উদাহরণও যদিও কম নয়। তবে সেই প্রসঙ্গ এড়িয়েই গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।
ধৃত অভিনেত্রী কেতকী চিতালেকে নিয়ে আজ তাঁর নবী মুম্বইয়ের কালামবোলির বাড়িতে আসে পুলিশ। সেখানে ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালিয়ে অভিনেত্রীর ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে তারা। মহারাষ্ট্রের পাঁচ জেলায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মোট ছ’টি মামলা রুজু হয়েছে। আগামী ১৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন তিনি। কেতকীর করা পোস্টটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়েছেন পওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি তাঁকে (কেতকী) চিনি না। এটি আদতে সংস্কৃতির বিষয়... আমি মধ্যবিত্ত মরাঠি পরিবারের শিক্ষায় বড় হয়ে উঠেছি।
কাউকে গালিগালাজ করা আমার সংস্কৃতির অঙ্গ নয়....আইন আইনের পথে চলবে।’’