National News

প্রজাতন্ত্র দিবসে হামলার ছক বানচাল, শ্রীনগরে ধৃত ৫ জইশ জঙ্গি

উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, বোমা বাঁধা অবস্থায় থাকা একটি জ্যাকেট, বল বেয়ারিং ও ডিটোনেটর, জিলেটিন স্টিক, নাইট্রিক অ্যাসিড।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রজাতন্ত্র দিবসে শ্রীনগরে বড়সড় জঙ্গি হানার ছক বানচাল করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। পাঁচ জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিকে গ্রেফতারের পর বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে বোমা বাঁধা জ্যাকেট মেলায় সন্দেহ আরও বেড়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর ধীরে ধীরে যখন উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হচ্ছে এবং ইন্টারনেট ও অন্যান্য পরিষেবা চালু করা হচ্ছে, তার মধ্যে এমন খবরে স্বভাবতই উদ্বেগ বেড়েছে নিরাপত্তা নিয়ে।

Advertisement

শ্রীনগরের পুলিশ সূত্রে খবর, আইজাজ আহমেদ শেখ, উমর হামিদ শেখ, ইমতিয়াজ আহমেদ চিকলা, সাহিল ফারুক গোজরি ও নাসির আহমেদ মির নামে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা সবাই হজরতবলের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিক অনুমান, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন শ্রীনগরে বড়সড় হামলার ছক কষেছিল এই জঙ্গিরা। তবে কী ধরনের হামলা বা ঠিক কোন জায়গায় হামলার ছক ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতদের জেরা করে সেই সব বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।

কিন্তু পুলিশ কেন মনে করছে হামলার ছক ছিল এই জঙ্গিদের? তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ধৃতেদর কাছ থেকে ছোট অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ওয়াকিটকি উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে তার চেয়েও উল্লেখযোগ্য বোমা বাঁধা অবস্থায় থাকা একটি জ্যাকেট, বল বেয়ারিং ও ডিটোনেটর, জিলেটিন স্টিক, নাইট্রিক অ্যাসিডের মতো জিনিসপত্র। এই সব সামগ্রী সাধারণ আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহার করা হয়। আর এতেই দুশ্চিন্তা বেড়েছে গোয়েন্দাদের। এই ধরনের আরও কোনও জঙ্গি দল সক্রিয় কি না, বা অন্য কোনও বিকল্প পরিকল্পনা জঙ্গিদের ছিল কি না, সে সব জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

গত ৫ অগস্ট সংসদে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের ঘোষণার পর থেকেই উপত্যকায় জারি হয়েছিল কড়া নিয়ন্ত্রণ। কার্যত সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল জম্মু-কাশ্মীর। তবে ধীরে ধীরে সেই নিয়ন্ত্রণ এখন অনেকটাই শিথিল। দু’দিন আগেই বহু জায়গায় চালু হয়েছে নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। বাকি অংশেও ধীরে ধীরে চালু করা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি উঠে গেলে জঙ্গি তৎপরতা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্তাদের একাংশ।

সম্প্রতি হজরতবল এলাকায় দু’টি গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সেই হামলাতেও এই জঙ্গিরা জড়িত থাকতে পারে। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement