যোগী আদিত্যনাথ
এ বার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সওয়াল করলেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর মতে, বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে সামঞ্জস্য না থাকলে তা দেশে নৈরাজ্য ডেকে আনতে পারে। তাই জনসংখ্যার ভারসাম্য কোনও ভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যে প্রচারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, তা সুষ্ঠু ভাবে সফল হওয়া জরুরি।
সোমবার দেশের বৃহত্তম রাজ্য (জনসংখ্যার নিরিখে) উত্তরপ্রদেশে ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পক্ষ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ওই কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে যোগী বলেন, ‘‘জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে ভারসাম্য না থাকলে তা দেশে অশান্তি ও নৈরাজ্যের সৃষ্টি করতে পারে।’’ এ বিষয়ে কঠোর হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘জনসংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা যখন পরিবারের কথা বলি, তখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দিকটিও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। যে ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, তা হওয়া উচিত নয়। কিছু সম্প্রদায়ের জন্ম হার অনেক বেশি। সাধারণ মানুষকে এ নিয়ে সচেতন করা ভীষণই জরুরি।’’
যোগী জানান, উত্তরপ্রদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ২৪ কোটির মতো। কিছু দিনের মধ্যেই তা ২৫ কোটি ছাড়াবে। এই পরিস্থিতি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা যদি জনসংখ্যার স্থিতিশীলতার কথা বলি, তা হলে জাতি, ধর্ম, অঞ্চল, ভাষার ঊর্ধ্বে উঠে সকলকে সচেতনতা কর্মসূচিতে যোগ দিতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই সময় রাজ্যসভায় সরকারের চাপে বাধ্য হয়েই সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা রাকেশ সিন্হা তাঁর আনা ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল, ২০১৯’ প্রত্যাহার করে নেন। রাজ্যসভার এই সাংসদের আনা বিলটি ছিল প্রাইভেট মেম্বার বিল বা বেসরকারি বিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কোনও বিল আনার কথা ভাবছে না সরকার। এ বার সেই জন্ম নিয়ন্ত্রণের পক্ষেই সওয়াল করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।