ফাইল চিত্র।
মেরেকেটে পাঁচশো মিটার। সনিয়া গাঁধীর বাসভবন দশ নম্বর জনপথ থেকে শরদ পওয়ারের ছয় নম্বর জনপথের বাড়ির দূরত্ব ঠিক এইটুকুই। তবুও শরদ পওয়ারের বাড়িতে ‘বিরোধী শিবির’-এর বৈঠকে কংগ্রেকে ডাকা হয়নি। ফলে মঙ্গলবার বিকেলের এই বৈঠক দিনভর কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে রাখল।
দিনের শেষে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে এনসিপি নেতা মজিদ মেমন অবশ্য জানান, বিজেপি-বিরোধী জোট তৈরির প্রস্তুতির জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়নি। সেই জোটে কংগ্রেসকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, এমনও নয়। তবু ভবিষ্যতে ফের কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে নতুন ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টা হবে না, এমনও কংগ্রেস নেতারা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না। বিশেষত, তৃণমূল, এনসিপি-র মতো কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হওয়া দলের নেতারাই যেখানে বৈঠকের উদ্যোক্তা। সম্প্রতি শিবসেনা কংগ্রেসের শক্তি কমায় নতুন ধাঁচের ইউপিএ তৈরির কথা বলেছে। এক কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, ‘‘কংগ্রেসমুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখা বিজেপি কি আড়ালে কংগ্রেস-মুক্ত বিরোধী করে ফেলতে চাইছে?’’
বৈঠক ও কংগ্রেসকে না ডাকা নিয়ে রাহুল গাঁধী আজ বলেন, ‘‘আমার লক্ষ্য, পুরো নজর কোভিডের উপরে রাখা। রাজনীতিতে কী হচ্ছে, এ দিকে, ও দিকে কী হচ্ছে, তার মধ্যে ঢুকে আমি নিজের, আপনাদের নজর ঘোরাব না।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ সব আলোচনার সময়, সুযোগ আসবে।’’
পওয়ারের বাড়ির বৈঠকে কপিল সিব্বল, মনীশ তিওয়ারি, বিবেক তাঙ্খা, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, শত্রুঘ্ন সিন্হার মতো পাঁচ জনকে ব্যক্তিগত স্তরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এঁদের প্রথম তিন জন আবার কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্য। কেউই অবশ্য বৈঠকে যাননি। বিরোধী শিবিরের মধ্যে বাম দল-সহ অনেক দলেরই মত, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোটের উদ্যোগ বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়। উল্টো দিকে অনেকের মত, এখন আর কংগ্রেস স্বাভাবিক নিয়মে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দাবি করতে পারে না।