—প্রতীকী চিত্র।
নাবালিকাকে ধর্ষণের পর অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছেন জঙ্গলের ভিতরে। তাঁকে খুঁজে বার করতে এ বার ‘নাইট ভিশন’ ড্রোন ব্যবহার করছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের হরদা জেলায়। ৫ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বছর চব্বিশের এক তরুণের বিরুদ্ধে। খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে একটি শুনশান জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। অচৈতন্য অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর জ্ঞান ফেরে নির্যাতিতার। পরে শারীরিক পরীক্ষার সময় যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মেলে।
২৩ সেপ্টেম্বর নাবালিকাকে উদ্ধারের পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তিনি আত্মগোপন করার সম্ভাবনা রয়েছে এমন একাধিক স্থানে ইতিমধ্যে তল্লাশি চালিয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত তরুণের এখনও পর্যন্ত কোনও হদিশ পায়নি পুলিশের তদন্তকারী দল। সম্প্রতি পুলিশের কাছে খবর আসে, হরদা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে একটি জঙ্গলে অভিযুক্ত লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এ বার জঙ্গলের মধ্যে ‘নাইট ভিশন’ ড্রোন ব্যবহার করে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। যদিও অভিযুক্ত এখনও অধরা।
হরদার জেলাশাসক আদিত্য সিংহ জানিয়েছেন, ভোপালের এক সংস্থা এই ড্রোনের থার্মাল ক্যামেরা প্রস্তুত করেছে। তিনি বলেন, “এই ক্যামেরাগুলিতে থার্মাল সেন্সর রয়েছে। ওই সেন্সরগুলিতে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ধরা পড়ে। গভীর জঙ্গলের মধ্যে কোথাও কোনও মানুষ লুকিয়ে থাকলে, এর মাধ্যমে সহজেই তা চিহ্নিত করা যায়।”
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই তরুণকে ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে পুলিশ। বছর চব্বিশের ওই তরুণ খান্দওয়া জেলার বাসিন্দা বলে সূত্রের দাবি। নির্যাতিতার গ্রামে অভিযুক্তের এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। সেখানে ঘুরতে গিয়েই অভিযুক্ত তরুণ নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। কিন্তু লাগাতার চেষ্টার পরেও এখনও ধরা যায়নি তাঁকে।