উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া সেই বার্তা।
নিষ্পাপ একটা মুখ। ছোট্ট হাতে ধরা রয়েছে একটা পোস্টার। আর তাতে লেখা রয়েছেবেশ কয়েকটি শব্দ— ‘পুলিশ কাকু, বাবাকে গুলি কোরো না! গাড়ি থামাতে বললেই বাবা গাড়ি থামিয়ে দেবে।’ বিবেক তিওয়ারির মৃত্যুর পর থেকে উত্তরপ্রদেশজুড়ে এই বার্তাটাই ঘুরে বেড়াচ্ছে। গাড়ি না থামানোর জন্য বিবেক তিওয়ারিকে শুক্রবার রাতে গুলি করে মারার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফুঁসছে রাজ্যবাসী। সেই ঘটনার আতঙ্ক ছোটদের গ্রাস করেছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে রাজ্যবাসী। আরও একটা বিবেক তিওয়ারি হবে না তো?
পুলিশের কারণেই বিবেকের সন্তানরা আজ পিতৃহারা। স্ত্রী স্বামীহারা। বিবেকের মতো পরিণতি যাতে আর কারও না হয়, সেই বার্তা দিতেই এ বার পথে নামল খুদেরা। তাঁদের বার্তা, ‘পুলিশ আঙ্কল, আপ রোকেঙ্গে তো পাপা রুখ যায়েঙ্গে, প্লিজ গোলি মত চালাইয়ে’। গোটা উত্তরপ্রদেশে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই বার্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। এমনকি গাড়ির পিছনেও সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বার্তা দেওয়া সেই পোস্টার।
গত শুক্রবার রাতে এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে করে ফিরছিলেন অ্যাপলের এরিয়া ম্যানেজার বিবেক তিওয়ারি। গোমতীনগর এক্সটেনশনের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পুলিশকর্মী বিবেককে গাড়ি থামাতে বলেন। অভিযোগ, বিবেক গাড়ি না থামিয়ে তাদের চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, বিবেক নাকি তাদের বাইকে তিন বার ধাক্কাও মারেন। পুলিশের দাবি, আত্মরক্ষার্থে তখন প্রশান্ত চৌধরি নামে এক পুলিশকর্মী বিবেকের গাড়ি লক্ষ্য গুলি চালান। গুলিতে আহত হন বিবেক। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হয়। দুই পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ক্রমাগত চাপ বাড়তে থাকায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আসরে নামেন। তিনি কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দেন। বিবেকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সর রকম সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিবেককে খুন করল পুলিশ? তীব্র প্রশ্নের মুখে আদিত্যনাথ
আরও পড়ুন: ভোটে ভুয়ো খবর ঠেকানোর আশ্বাস সোশ্যাল মিডিয়ার
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)