দিল্লির রোহিণীতে গত রবিবার বিস্ফোরণস্থলে এনএসজি এবং অন্য তদন্তকারী দল। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির রোহিণীতে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে প্রায় এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত। কী ভাবে বিস্ফোরণ, কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখতে আসরে নেমেছে একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও খলিস্তানি যোগ এখনও পাননি আধিকারিকেরা। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও বিশেষ কিছু হাতে পাননি তদন্তকারীরা।
দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। এমনকি আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু বিস্ফোরণস্থলে কে ওই ব্যাগটি রেখেছিলেন, তার কোনও ফুটেজ সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি।
গত রবিবার সকালে দিল্লির রোহিণীতে সেক্টর ১৪ এলাকায় একটি স্কুলের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছিল। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলের দেওয়াল। একটি গাড়ি এবং আশপাশের কিছু দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে কেউ জখম হননি। কী কারণে বিস্ফোরণ হল, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট ভাবে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় দিল্লি পুলিশ। যদিও পুলিশের একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সম্ভবত কম তীব্রতার একটি আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল।
বিস্ফোরণের পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগ পাওয়া যায়নি। তবে দিল্লি পুলিশকে এই তদন্তে সাহায্য করছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। তদন্তে নামার পর থেকে সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিশ। সমাজমাধ্যম ‘টেলিগ্রাম’-এ একটি হ্যান্ডলও পুলিশের নজরে ছিল। বিস্ফোরণের সময়ের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ওই টেলিগ্রাম হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছিল। সঙ্গে খলিস্তানপন্থী স্লোগানও লেখা হয়েছিল। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রোহিণীর বিস্ফোরণে কোনও খলিস্তানি যোগ মেলেনি।