—প্রতীকী চিত্র।
প্রায় বছর তিনেক ধরে নিখোঁজ ছিলেন বধূ। পরিবারের লোকেরা ধরেই নিয়েছিলেন, তিনি মারা গিয়েছেন। থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, বাপের বাড়ির লোকেরা অপহরণ করে খুন করেছেন বধূকে। বাপের বাড়ি থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই অপহরণ করে খুন করেছেন। দুই বাড়ির তরফেই পৃথক অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলার। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজাখুঁজি, তদন্তও চলছিল। অবশেষে তিন বছর পর সেই বধূর খোঁজ মিলল। গোন্ডার পুলিশ সুপার বিনীত জয়সওয়াল জানিয়েছেন, লখনউয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর করছিলেন ওই মহিলা।
২০১৭ সালের নভেম্বরে গোন্ডার দাদুহা বাজার এলাকার বাসিন্দা বিনয় কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বছর তেইশের কবিতার। প্রায় সাড়ে তিন বছর তিনি সংসার করেন বিনয়ের সঙ্গে। এর পর ২০২১ সালের ৫ মে শ্বশুরবাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ওই মহিলা নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন কবিতার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। প্রচুর খোঁজাখুঁজির পরও কোনও সন্ধান মেলেনি তাঁর।
এর পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পাল্টা একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল থানায়। সেই অভিযোগটি জানিয়েছিলেন কবিতার স্বামী বিনয়। অভিযোগ ছিল কবিতার ভাই-সহ বাপের বাড়ির ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে। বাপের বাড়ির লোকেরাই বধূকে অপহরণ করে খুন করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ সুপার জানান, দু’টি অভিযোগের তদন্ত চলছিল। কিন্তু কবিতা কোথায় রয়েছেন, সে বিষয়ে কোনও তথ্য পুলিশের হাতে এত দিন আসেনি।
পরে মামলাটি হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তথ্য তলব করা হয়েছিল। সেই সময়েই স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ এবং স্থানীয় থানার পুলিশ লখনউয়ের একটি বাড়িতে কবিতার সন্ধান পায়। নিজের প্রেমিকের সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকছেন মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, গোন্ডায় মহিলার প্রেমিকের একটি দোকান রয়েছে। সেই সূত্রেই দু’জনের পরিচয় এবং পরে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। প্রেমিকের টানেই বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন কবিতা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কবিতা জানিয়েছেন, লখনউয়ে বসবাস শুরুর আগে প্রায় এক বছর তাঁরা অযোধ্যায় ছিলেন।