আথিরার কাছ থেকে নিজের ধার শোধের জন্য অখিল টাকা এবং গয়না নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ছবি: প্রতীকী
টাকা ধার দিয়েছিলেন আথিরা। নিজের গয়নাও দিয়েছিলেন সহকর্মী-প্রেমিককে। সে সব ফেরত চাইতে পারেন ভয়েই কি দুই সন্তানের মা আথিরাকে খুন করেছিলেন অখিল? পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে সেই দাবিই করেছেন অখিল। যদিও পুলিশ মানতে রাজি নয়। তাদের ধারণা, এই খুনে অন্য কেউ জড়িত থাকতে পারেন। অনেক তথ্যই চেপে যাচ্ছেন অখিল।
আথিরা কেরলের আঙ্গামালির পারাক্কাদাভুর বাসিন্দা। তাঁর স্বামী এবং দুই সন্তান রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’ মাস কয়েক আগে একটি সুপারমার্কেটে কাজ নেন আথিরা। সেখানেই পরিচয় হয় অখিলের সঙ্গে। অখিলও সেখানেই কাজ করতেন। আথিরার কাছ থেকে নিজের ধার শোধের জন্য অখিল টাকা এবং গয়না নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২৯ এপ্রিল নিখোঁজ হয়ে যান আথিরা। পাঁচ দিন পর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, ২৯ এপ্রিল ভাড়া গাড়িতে আথিরাপিল্লির জঙ্গলে আথিরাকে নিয়ে গিয়েছিলেন অখিল। সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘টাকা, গয়না ফেরত চাইতে পারে ভেবে কেন কাউকে কেউ খুন করবেন! আর অখিলের সঙ্গে আথিরার ঝামেলা হলে ওই জঙ্গলে গিয়েছিলেন কেন? কেন ওই জঙ্গলে গিয়েছিলেন তাঁরা, স্পষ্ট নয়।’’ ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, অখিল এর আগে কোনও অপরাধ করেননি। তাই তাঁর যুক্তি মানা যায় না। কেন খুন, তা খোঁজ করছে পুলিশ।