ইন্ডিয়া গেটে বিক্ষোভরত দিল্লির পুলিশকর্মীরা। পিটিআই
আইনজীবীদের হাতে নিগ্রহের অভিযোগে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করার পরে বাহিনীকে শান্ত করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়ক। কিন্তু তাতে উল্টো ঘটনাই ঘটে। তাঁকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দিল্লির খাকি ঊর্দিধারীরা। এই জমায়েত থেকেই স্লোগান ওঠে, ‘পুলিশ কমিশনার ক্যায়সা হো, কিরণ বেদী জ্যায়েসা হো।’কেন আসছে প্রাক্তন আইপিএস কিরণ বেদীর নাম? এই স্লোগানই নিয়ে যাচ্ছে ৩১ বছর আগের এক শীতের দুপুরে।
১৯৮৮-র জানুয়ারি। চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত এক আইনজীবীকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। তার প্রতিবাদেই তিসহাজারি কমপ্লেক্সে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন দিল্লির আইনজীবীদের একাংশ। ক্রমে এই বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারা নিতে থাকে। দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশ বনাম আইনজীবী সংঘর্ষ বাধে।
সে বারও দিল্লি পুলিশের সদর দফতর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ-আইনজীবীদের সংঘর্ষে জখন হন ১৮ জন আইনজীবী। আইনজীবীরা আঙুল তোলেন কিরণ বেদীর দিকে। বলা হয়, তাঁর নির্দেশেই আক্রমণ করা হয়েছে আইনজীবীদের। বেদী সংবাদমাধ্যমে পাল্টা জানান, আইনজীবীরা তাঁর অফিসে হামলা চালান। অশ্রাব্য গালিগালাজ চলে, তাঁর জামাকাপড় খুলে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। তাই বাধ্য হয়েই দিল্লি পুলিশ প্রত্যাঘাত করেছে।
আরও পড়ুন:কার্তিকে শীতের দেখা নেই, সপ্তাহান্তে রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’
আরও পড়ুন: দিল্লির সহকর্মীদের প্রতিবাদে সমর্থন এ রাজ্যের পুলিশকর্মীদেরও
ঘটনার এখানেই শেষ নয়। বরং শুরু। অভিযোগ, ১৯৮৮’র ১৭ ফেব্রুয়ারি হাজার তিনেক লোক হামলা চালায় তিশহাজারি কোর্ট কমপ্লেক্সে। ভাঙচুর চলে আইনজীবীদের অফিসে। আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, কিরণই এই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও আদালতে তা প্রমাণ করা যায়নি।
৩১ বছর পরে সেই পুলিশ-আইনজীবী সংঘাতেই ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দিল্লি। নিগ্রহের অভিযোগে ইন্ডিয়া গেটে বেশ কয়েক ঘণ্টার অবস্থান-বিক্ষোভ চালানোর পরেসিনিয়র অফিসারদের অনুরোধেকয়েক হাজার পুলিশকর্মী এই বিক্ষোভ তুলে নেন। তবে, মঙ্গলবার দিনভর থেকে থেকেই স্লোগান ওঠে,‘পুলিশ কমিশনার ক্যায়সা হো, কিরণ বেদী জ্যায়েসা হো।’