ভাইঝিকে ধর্ষণ করে মুণ্ডচ্ছেদ, ধৃত কাকা

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা ১৩ মার্চের। স্কুল থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ১২ বছরের ওই কিশোরী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রায়পুর শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ০৪:২৪
Share:

স্কুল থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ১২ বছরের ওই কিশোরী।

ভাইয়ের মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুন করে তার মাথা কেটে দিয়েছিল এক ব্যক্তি ও তার দুই ছেলে। গোটা ঘটনায় জড়িত ছিল তার স্ত্রী-ও। পরিকল্পনা করে গ্রামের অন্য এক জনের ঘাড়ে দোষও চাপিয়ে দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মধ্যপ্রদেশের সাগরের ওই ঘটনার তদন্তে নেমে অপরাধীদের খুঁজে বার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে দুই অভিযুক্ত।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা ১৩ মার্চের। স্কুল থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ১২ বছরের ওই কিশোরী। মেয়েকে না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ জানায় পরিবার। পরের দিন একটি মাঠ থেকে মেয়েটির মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। ছোটে পটেল নামে গ্রামেরই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনে অভিযুক্ত। ছোটের পরিবারের সঙ্গে মেয়েটির পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। তার প্রতিশোধ নিতেই ছোটে এই কাজ করেছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করে মেয়েটির কাকা।

কিন্তু দেহ ময়না-তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে গণধর্ষণ করা হয়েছে মেয়েটিকে। তার কাকার গতিবিধি সন্দেহজনক লাগায় ওই পরিবারকে চেপে ধরে পুলিশ। চাপের মুখে ভেঙে পড়ে ওই পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে কাকার দুই ছেলে অপহরণ করে নিয়ে যায় মেয়েটিকে। এর পরে তার কাকা আর তার দুই ছেলে মিলে গণধর্ষণ করে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মেয়েটি যখন পুলিশের কাছে গিয়ে সব জানিয়ে দেবে বলে ভয় দেখায়, তখন কাকার স্ত্রী তাকে গলা টিপে খুন করে। ওই পরিবারের লোকজন মেয়েটির মাথা কেটে তার দেহ মাঠে ফেলে দেয়। নিজেদের বাঁচাতে ছোটে পটেলের ঘাড়ে দোষও চাপিয়ে দেয় তারা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে রক্তমাখা জামা-কাপড়, কাস্তে মিলেছে। মেয়েটির কাকার এক ছেলে পলাতক। কোন আক্রোশ থেকে ওই নাবালিকার উপরে এমন নির্যাতন করা হল, তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement